নয়াদিল্লি: সংবিধান দিবসে (Constitution Day) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) তীব্র আক্রমণ কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) । মঙ্গলবার রাহুল বলেন, ‘আমার বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী মোদি সংবিধান পড়েননি। যদি উনি পড়তেন তাহলে উনি আজকে এই ধরনের কাজ করতে পারতেন না।‘
আজ ২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবস উপলক্ষে কংগ্রেসের তরফ থেকে ‘সংবিধান বাঁচাও’ নামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় তালকোটরা স্টেডিয়ামে। সেই অনুষ্ঠানে রাহুল প্রশ্ন তোলেন, সংবিধান কি হিংসার অনুমতি দেয়? নরেন্দ্র মোদিজী ও বিজেপি সরকার সংসদে সংবিধান দিবস উপলক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। এটি ভারতের সংবিধান। আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি যে, মোদিজি সংবিধান পড়েননি। যদি উনি (মোদি) সংবিধান পড়তেন, তাহলে প্রতিদিন যা করেন, সেটা করতে পারতেন না। রাহুল বলেন, সংবিধানে কি সাভারকারজীর আওয়াজ আছে? সংবিধানে কি লেখা আছে মানুষকে হত্যা করতে হবে? আর সরকার চালানোর জন্য মিথ্যা বলতে হবে?
আরও পড়ুন: আসছে কেন্দ্রের নয়া প্রকল্প, এবার প্যান কার্ডে থাকবে কিউ আর কোড
রাহুল বলেন, সংবিধানকে একটি “সত্য ও অহিংসার বই” ডঃ আম্বেদকর, জ্যোতিরাও ফুলে, ভগবান বুদ্ধ এবং গান্ধীজি দ্বারা পরিচালিত সামাজিক ক্ষমতায়নের ধারণাগুলি ব্যাখ্যা করে।
ভাষণ দেওয়ার সময় রাহুল গান্ধীর মাইক্রোফোন বন্ধ হয়ে যায়। রাহুল এই প্রসঙ্গে বলেন, এই দেশে গত ৩ হাজার বছর ধরে যারাই দলিত, আদিবাসী, অনগ্রসর শ্রেণি বা গরিবদের কথা বলে তাদের মাইক বদলানো হয়েছে। আমার যখন মাইক্রোফোন বন্ধ হয়েছিল, বহু মানুষ আমাকে এসে বলেছিল আসনে গিয়ে বসতে। কিন্তু আমি বসিনি। আমি বলেছিলাম আমি বসব না, দাঁড়াব। আপনি যত খুশি মাইক বন্ধ করুন, আমি যা বলতে চাই তা বলব। রাহুল বলেন, আমার পিছনে রোহিত ভেমুলার ছবি, তিনি কথা বলতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তার কন্ঠস্বর কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।”
এই অনুষ্ঠানের আগে কংগ্রেস নেতা সংসদে সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন, যেখানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু লোকসভা এবং রাজ্যসভার যৌথ বৈঠকে ভাষণ দিয়েছিলেন।
দেখুন অন্য খবর: