কলকাতা: এবার রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানাল জাতীয় মহিলা কমিশন (National Commission For Women)। সোমবার কমিশনের সভানেত্রী রেখা শর্মা (Rekha Sharma) সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি কথা বলেন স্থানীয় অনেক মহিলার সঙ্গে। তাঁকেও এদিন পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল। সেই বাধা উপেক্ষা করেই রেখা গ্রামে গ্রামে ঘোরেন। পরে রেখা (Rekha Sharma) জানান, তিনি ১৮টি অভিযোগ পেয়েছেন। তার মধ্যে দুটি ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। গ্রামে গ্রামে অকথ্য নির্যাতন হয়েছে। পুলিশ মহিলাদের অভিযোগ নিতে চাননি। এই অবস্থায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। কমিশনের সভানেত্রী বিকেলে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রাজ্যপালকেও একই কথা জানাব।
আরও পড়ুন:কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব-৫)
এর আগে জাতীয় এসসি কমিশনও রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদারের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল সম্প্রতি সন্দেশখালি গিয়েছিল। সেই প্রতিনিধিরাও মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন। অরুণের দাবি, অনেক মহিলা তাঁদের কাছে তৃণমূল এবং পুলিশ বাহিনীর অত্যাচারের কাহিনি শুনিয়েছেন। পরের দিন কমিশন রাষ্ট্রপতির কাছে তাদের রিপোর্ট পেশ করে। সেই রিপোর্টেই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করা হয়েছে। দিল্লিতে বসে কমিশনের চেয়ারম্যান সাংবাদিক বৈঠকে জানান, তাদের রিপোর্টে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি রয়েছে। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল বলে, সাহস থাকলে কেন্দ্রীয় সরকার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে দেখাক।
আরও পড়ুন: আধার কার্ড বাতিল নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী
জাতীয় এসসি কমিশনের পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury) সন্দেশখালি যেতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন রামপুরের কাছে। সেখানেই অধীর দলবল নিয়ে রাস্তায় বসে পড়েন। প্রায় এক ঘণ্টা তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। সেখানে কংগ্রেস নেতা বলেন, যে যতই বলুক, কেন্দ্রীয় সরকার বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করবে না। কারণ তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির সেটিং রয়েছে। বুকের পাটা থাকলে কেন্দ্র সন্দেশখালিকে উপদ্রুত এলাকা বলে ঘোষণা করুক।
অন্য খবর দেখুন