কলকাতা: ধর্ষণ রোধী বিল আগামীকাল রাজ্য বিধানসভায় (Assembly) পেশ হবে। নারী (Women) ও শিশুদের (Child) নিরাপত্তা (Security) সুনিশ্চিত করতেই যৌন নির্যাতন, ধর্ষণ ও গণধর্ষণ সংক্রান্ত আইনকে আরও কঠোর রূপ দিতে চায় রাজ্য সরকার। এজন্য আগামীকাল বিধানসভায় পশ্চিমবঙ্গ ফৌজদারি আইনের একটি সংশোধনী আনা হচ্ছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে অপরাজিতা নারী ও শিশু (পশ্চিমবঙ্গ ফৌজদারি আইন সংশোধনী) বিল। প্রস্তাবিত বিলটিতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ও ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও পকসো আইনেরও কয়েকটি ধারা সংশোধন করে কঠোরতর বিধি যুক্ত করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত এই সংশোধনীতে ধর্ষণের ঘটনার ক্ষেত্রে ধর্ষিতা মারা গেলে অথবা জড় অবস্থায় পৌঁছে গেলে অপরাধীর বাধ্যতামূলকভাবে মৃত্যুদণ্ড ও জরিমানার সংস্থান রাখা হয়েছে। ধর্ষণের ক্ষেত্রে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং জরিমানার সংস্থান থাকছে। গণধর্ষণের ক্ষেত্রেও ধর্ষণকারীদের আমৃত্যু কারাবাস করতে হবে। বয়স নির্বিশেষে যে কোনো ধর্ষণের মামলাতে একই ধরনের শাস্তির বিধান থাকছে। ধর্ষিতার পরিচয় প্রকাশ করলে সংশ্লিষ্ট অপরাধীর তিন থেকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও জরিমানার সংস্থান রাখা হয়েছে। আদালতে চলা এই সংক্রান্ত মামলার বিষয়ে কোনও তথ্য অনুমতি ছাড়া প্রকাশ্যে আনলেও একই শাস্তি দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য সচিবের বৈঠক
গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে এক মাসের বদলে সাতদিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। মূল আইনে যেখানে এক বছরের মধ্যে শাস্তি দেওয়ার কথা বলা ছিল, তা সংশোধন করে এক মাসের মধ্যে করা হবে। মূল আইনে কোনও থানায় ঘটনা নথিভুক্ত করার পর দু’মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার কথা বলা ছিল। এই সংশোধনীতে তা কমে ২১ দিনের মধ্যে শেষ করার কথা বলা হচ্ছে। যদি কোনও ক্ষেত্রে দেখা যায় পুলিশ ২১ দিনে তদন্ত শেষ করতে পারছে না, আরও ১৫ দিন অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কোন আধিকারিক স্বয়ং ওই ঘটনার তদন্ত করবেন।
প্রস্তাবিত সংশোধনীতে মহিলা ও শিশুদের বিরুদ্ধে হওয়া অত্যাচারের ঘটনার তদন্তে অপরাজিতা টাস্ক ফোর্স তৈরির কথা বলা হয়েছে। মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য জেলায় জেলায় বিশেষ আদালত গঠন করারও প্রস্তাব রয়েছে। যার দায়িত্বে থাকবেন ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট পদমর্যাদার পুলিশ কর্তারা।
আরও খবর দেখুন