পুরুলিয়া: দক্ষিণবঙ্গে দাপট দেখায়নি বর্ষা। কখনও ভারী তো কখনও হালকা বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যেই বাড়ছে মশাবাহিত রোগের দাপট। একের পর এক জেলায় হাসপাতাল ভরছে ডেঙ্গি (Dengue) – ম্যালেরিয়া (Malaria ) রোগীতে। বর্ষার মৌসুমের শুরুতেই রাজ্যের অন্যতম প্রান্তিক জেলা পুরুলিয়ায় জেলা থাবা বসিয়েছে ডেঙ্গি। ক্রমশ বাড়ছে ম্যালেরিয়া জ্বরে আক্রান্ত সংখ্যা। পুরুলিয়ায় থাবা বসাচ্ছে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া! আর এর মোকাবিলায় বড় চ্যালেঞ্জ বেআইনি খাটাল, বর্তমানে পুরুলিয়া জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্ত ১৮ ছাড়িয়েছে। ম্যালেরিয়া আক্রান্ত পাঁচশো। অভিযোগ পুরুলিয়ায় যেখানে সেখানে গজিয়ে ওঠা বেআইনি খাটাল বন্ধ করতে ব্যর্থ পুরসভা।এর থেকে বাড়ছে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার মতো রোগ।
বর্তমানে জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ জন। একই সঙ্গে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের। পুরুলিয়া শহরবাসি অভিযোগ, ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া মোকাবিলার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে পুরুলিয়া শহরের বেআইনি খাটাল গুলি। এই বেআইনি খাটাল গুলির জমা গোবর সহ পঁচা জল ডেঙ্গু মশার আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে। আর এই খাটাল বন্ধ করার ক্ষেত্রে রীতিমতো ব্যর্থ প্রশাসন। তাই ডেঙ্গি মোকাবিলা করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে প্রশাসনের পক্ষে। পরিস্থিতির নিয়ে কোন গুরুত্ব নেই প্রশাসনের।
আরও পড়ুন: রাস্তা ঘেরাকে কেন্দ্র করে বাম-কংগ্রেস-তৃণমূলের সংঘর্ষ, বোমাবাজি
বিশেষ করে পুরুলিয়া পুরসভা এলাকার জমে থাকা ময়লা এবং নালার জল থেকে ডেঙ্গি মশার প্রজনন ঘটছে। তাই পুরসভা পক্ষে এলাকার বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা ময়লা ও জল পরিষ্কার না করা হলে, পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে বাড়িতে বাড়িতে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যে পুরসভা পক্ষ থেকে মশা মারার স্প্রে ছড়ানো হচ্ছে। এ বিষয়ে পুরুলিয়া পৌরসভার পুর প্রধান নবেন্দু মাহালী জানান পুরুলিয়া পুরসভার বিভিন্ন এলাকায় বেআইনি ঘাটালের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে প্রশাসন। পুরুলিয়া শহরের কোথায় কোথায় বেআইনি খাটাল রয়েছে তা সনাক্তকরণ করে তাদেরকে পরবর্তীকালে নোটিশ পাঠানোর আশ্বাস জানিয়েছেন তিনি।”
সর্বোপরি, ডেঙ্গুর ও ম্যালেরিয়া বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রশাসনের দ্রুত এবং কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। জনগণের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে প্রশাসনকে অতিসত্বর কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানানো হয়েছে।
অন্য খবর দেখুন