কলকাতা: বর্তমানে মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচারের অভিযোগ ঘিরে জোর চাঞ্চল্য শুরু হয়। আরজি কর কাণ্ডের পরেই হাসপাতালগুলির মধ্যে চলা দুর্নীতিগুলি একে একে প্রকাশ্যে আসে। একের পর এক অভিযোগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। তাঁদের সব সমস্ত সমস্যা মন দিয়ে শুনে সমাধান দ্রুত করার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে এই থ্রেট কালচারের অভিযোগ থেকে বাদ যায়নি কল্যাণী কলেজ। সেখানকার ৪১ জন ডাক্তারি পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে সেই সাসপেনশনে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: চিড়িয়াখানায় দর্শকরা থাকবে কাচের টানেলে, আর ওরা বাইরে
মঙ্গলবার হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল। শুনানিতে দিল্লি থেকে ভার্চুয়ালি সাসপেন্ডেড ডাক্তারদের হয়ে সওয়াল করেন বিচারপতি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই বিচারপতি ডাক্তারদের বিরুদ্ধে সাসপেনশনের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৮ জানুয়ারি। আদালতে নির্দেশ অনুযায়ী, এখন মেডিক্যাল কলেজে প্রবেশ করতে পারবে। ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে পড়ুয়ারা।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর কলেজের বেশ কিছু পড়ুয়া ওই অভিযুক্ত পড়ুয়াদের নামে Ragging-এর অভিযোগ আনেন। ১৯ তারিখ থেকে অভিযুক্ত পড়ুয়াদের ক্লাস করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ছ’মাসের জন্য জারি হয়েছিল এই সাসপেনশন। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টে ওঠে মামলাটি। সেখানেই সাসপেনশনে স্থগিতাদেশ দেয় আদালত।
দেখুন অন্য খবর: