নদিয়াঃ স্কুলের ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি, কুপ্রস্তাব এবং অশালীন মেসেজ করার অভিযোগ উঠল স্কুলের অস্থায়ী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনার খবর সামনে আসতেই সোমবার স্কুলের সামনে প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার বাসিন্দারা।অবিলম্বে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করতে হবে বলে দাবি তোলেন প্রতিবাদীরা। সুধুমাত্র তাই নয়, স্কুল থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে অপসারণেরও দাবি তোলেন বিক্ষোভকারীরা।
ঘটনাটি ঘটেছে পলাশি পাড়া থানার পলসুন্ডা গার্লস হাই স্কুলে। ওই স্কুলেরই অস্থায়ী শিক্ষক সামিউল হোসেন। অভিযোগ, সামিউল দীর্ঘদিন ধরে নবম শ্রেণীর একাধিক ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব দিত। শুধুমাত্র তাই নয় সুযোগ পেলেই তিনি নির্যাতনও করতেন।
আরও পড়ুন:বিনীত গোয়েল আমাকে ফাঁসিয়েছে, বিস্ফোরক সঞ্জয় রায়
দীর্ঘদিন ধরে এই কাণ্ড ঘটে যায়, কিন্তু শিক্ষকের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছিলেন ছাত্রীরা। অবশেষে একজন ছাত্রী ঘটনা সম্পর্কে মুখ খুললে বাকি ছাত্রীরাও ভয় কাটিয়ে মুখ খোলেন।তাদের সকলেরই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেওয়া সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
ঘটনার প্রতিবাদে আজ, স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান ছাত্রীদের অভিভাবক-সহ এলাকার বাসিন্দারা। তাদের দাবি দ্রুত ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পলাশীপাড়া থানার পুলিশ। অস্থায়ী শিক্ষক সামিউলের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ স্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক সুব্রত মুখার্জি। বিক্ষোভের পরই তিনি ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং পলাশীপাড়া থানার পুলিশ। এরপরই বিক্ষোভ উঠলেও দ্রুত ও শিক্ষকের গ্রেফতার করা না হলে আরো বড়সড়ো আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এলাকাবাসী।
দেখুন অন্য খবর