কেরল: আধুনিকতার যুগে এখনও মানুষের মধ্যে জাত তুলে কথা বলার প্রবণতা অব্যাহত। গায়ের রঙ ‘কালো’ হলেও অবহেলার শিকার হওয়ার খবর আজকের দিনেও নতুন নয়। এবার সেই গায়ের রঙ কালো বলেই সহপাঠীদের র্যাগিংয়ের (Ragging) শিকার হতে হল এক পড়ুয়াকে।
স্কুলে নানাভাবে হেনস্থা করা, অছিলায় মারধর করা এমনকি সহপাঠী থেকে সিনিয়র দাদা ছেলেটিকে কমোডের সিট চাটতে বাধ্য করে। দিনের পর দিন গুমড়ে গুমড়ে থেকে চরম পদক্ষেপ নেয় ওই ১৫ বছরের এক পড়ুয়া।
আরও পড়ুয়া: মহাকুম্ভে নতুন নিয়ম! অমৃত স্নানের আগে কী নির্দেশিকা যোগীর?
২২ জানুয়ারি (22 January) ২৬ তলা থেকে লাফ দিয়ে আত্মঘাতী হয় সে। ঘটনার কয়েকদিন পর পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায় পরিবার।
তার মৃত্যুর কয়েকদিন পর পুলিশের কাছে নতুন করে অভিযোগ জানিয়েছে তার পরিবার। কেরলের কোচির ঘটনা। এ ঘটনায় পুলিশ আত্মহত্যার মামলা রুজু করেছিল। কিন্তু সম্প্রতি পরিবারের তরফে আরও একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই পড়ুয়া তিরুভানিয়ারের গ্লোবাল পাবলিক স্কুলের (Global Public School, Tiruvanyar) শিক্ষার্থী (student) ছিল। পরিবারের অভিযোগ, তাদের ছেলে র্যাগিং (Raging) করত তার সহপাঠীরা (classmates) । মারধর করা হত। গায়ের কালো বলে তাঁকে নিয়ে হাসাহাসি করা হত।
পড়ুয়ার অন্যান্য বন্ধু এবং ফোনের কথোপকথন পড়ে জানা গেছে, শেষ কয়েকদিনে স্কুলের বাথরুমের কমোডের সিট চাটতে বাধ্য করা হয়েছিল তাকে। এমনকী কমোডের মধ্যে তার মাথা ঢুকিয়ে, ফ্লাশ করেছিল তারা।
স্কুলে এমন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েই একদম ভেঙে পড়েছিল। নিজের মধ্যেই সব কিছু রেখেছিল, বাড়ির কাউকে কোনও কিছু জানায়নি। এ ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছে পরিবার। কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও চিঠি লিখে কড়া পদক্ষেপের আবেদন জানিয়েছে। উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে।
দেখুন অন্য খবর: