কলকাতা: একটানা প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ার জুড়ে পাহাড়ি নদীর জল ঢুকে ভেসে গিয়েছে বহু বাড়িঘর (Weather Forecast)। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা, সেতু, যোগাযোগ ব্যবস্থা। টানা বর্ষণে জনজীবন কার্যত বিপর্যস্ত (Rain Update Today)। তবে কিছুটা স্বস্তির খবর, মঙ্গলবার থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই উত্তরবঙ্গে। কিছু এলাকায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে বলে জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update)।
হাওয়া অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছরে উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যেই ৩৬২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ২০১৭ ও ২০২০ সালের তুলনায় কিছুটা কম হলেও, এবারের বৃষ্টিপাতও প্রবল মাত্রার। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা হাবিবুর রহমান বিশ্বাস জানান, “বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি এখন শক্তি হারিয়ে উত্তর-পূর্ব বিহারে ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবেই উত্তরে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি ও দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে ভয়াবহ পরিস্থিতি, কল্যাণীর বিশ্বাস পরিবারের থেকে জেনে নিন ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা
উত্তরের আবহাওয়ার পূর্বাভাস
আবহাওয়া দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, মঙ্গলবার ও বুধবার উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলায় কিছু অংশে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। উপরের দিকের জেলাগুলিতে বৃষ্টির মাত্রা কিছুটা বেশি থাকবে। তবে বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার বৃষ্টির পরিমাণ ধীরে ধীরে কমবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
দক্ষিণবঙ্গে জারি হলুদ সতর্কতা
দক্ষিণবঙ্গে আজ মঙ্গলবার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও নদিয়া জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে। বুধবারও একই ধরনের আবহাওয়া থাকবে। হাওয়া অফিস ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গে হলুদ সতর্কতা জারি করেছে। তবে বৃহস্পতিবার থেকে রবিবারের মধ্যে বৃষ্টি ধীরে ধীরে কমবে এবং আবহাওয়া স্বাভাবিকের পথে ফিরবে।
কলকাতার আবহাওয়ার আপডেট
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মঙ্গলবার কলকাতার আকাশ থাকবে মেঘলা। বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৩১° সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন প্রায় ২৬° সেলসিয়াস। সোমবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.৫°, স্বাভাবিকের থেকে ৩.৩ ডিগ্রি কম। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৮২ থেকে ৯৭ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে, ফলে অস্বস্তি বজায় থাকবে বলেই মনে করছে হাওয়া অফিস।
দেখুন আরও খবর: