লিডস: প্রিমিয়ার (EPL) লিগে গোল করার রেকর্ড একটাও আস্ত থাকবে বলে মনে হয় না। কারণ এর্লিং হালান্ড (Erling Haaland) নামের এক বিধ্বংসী স্ট্রাইকার এই মরশুমে ইপিএল খেলা শুরু করেছেন। বুধবার রাতে তিনি কোন রেকর্ড করলেন পরে বলছি। আগে বলি তাঁর যন্ত্রণাময় একটা মাসের কথা। এই যে বিশ্বকাপ (Qatar World Cup) হয়ে গেল, সেখানে দেখা যায়নি হালান্ডকে। দেখা যাবেই বা কী করে, তাঁর দেশ নরওয়ে (Norway) তো বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। গোটা দুনিয়া যখন মেসি-নেইমার-এমবাপের স্তুতিতে ব্যস্ত, বুকে পাথর চাপা দিয়ে ঘরে বসে ছিলেন ২২ বছরের তারকা। অপেক্ষা করছিলেন ইপিএল শুরুর।
প্রিমিয়ার লিগে (Premiere League) ম্যান সিটি (Man City) তাদের যাত্রায় ফিরল বুধবার রাতে। লিডসের (Leeds United) বিরুদ্ধে সেই ম্যাচেই জোড়া গোল করলেন নরওয়ের তারকা। প্রিমিয়ার লিগে এই নিয়ে তাঁর ২০টা গোল হয়ে গেল। ২০ গোল করতে মাত্র ১৪টা ম্যাচ নিয়েছেন হালান্ড। অ্যালান শিয়ারার, ওয়েন রুনি (Wayne Rooney), সার্জিও আগুয়েরো, থিয়েরি অঁরির মতো ইপিএলের সর্বকালের সেরা স্ট্রাইকাররা এই রেকর্ডের ধারেকাছেও নেই। সবথেকে কাছাকাছি কেভিন ফিলিপস যিনি ২০ গোল করতে ২১ ম্যাচ খেলেছিলেন।
আরও পড়ুন: গোয়াকে হারিয়ে বছরের শেষ ম্যাচে জয়ের সরণিতে ফিরল এটিকে মোহনবাগান
এক মরসুমে মহম্মদ সালাহর (Mohammad Salah) সর্বোচ্চ ৩২ গোলের রেকর্ডও ঝুঁকির মুখে। এ মরশুমে এখনও ৩৩টা ম্যাচ ব্যাকি। ম্যাচ প্রতি ০.৫ গোল করলেও সালাহর রেকর্ড ভাঙবে। হালান্ড যেরকম ফর্মে রয়েছেন তাতে ৪০-৪৫টা গোল করাও অসম্ভব নয়, যদি না চোট বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগের ক্লাব বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে (Borussia Dortmund) থাকাকালীন চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও দ্রুততম ২০ গোলের রেকর্ড করেছিলেন। সেক্ষেত্রেও নিয়েছিলেন ১৪টা ম্যাচ। আরও একটি ইন্টারেস্টিং রেকর্ড কাল করেছেন ম্যান সিটির গোলমেশিন। তাঁর বাবার গোটা ইপিএল কেরিয়ারে করা মোট ১৮ গোলকে টপকে গিয়েছেন। এর্লিং হালান্ডের বাবা অ্যালফি অবশ্য মাঝমাঠে খেলতেন। যাই হোক, হালান্ডের দুটো এবং রদ্রির এক গোলে লিডসের বিরুদ্ধে ৩-১ জিতেছে ম্যান সিটি। লিডসের হয়ে সান্ত্বনামূলক একটি গোল পাস্কাল স্ট্রুইকের।