প্যারিস: বিশ্বকাপ (Qatar World Cup) যেখান থেকে শেষ করেছিলেন পিএসজি-র (PSG) হয়ে সেখান থেকেই শুরু করলেন কিলিয়ান এমবাপে (Kylian Mbappe)। সংযুক্ত সময়ের একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল করে দলকে তিন পয়েন্ট এনে দিলেন তিনি। লিওনেল মেসি (Lionel Messi) এখনও আর্জেন্টিনায় (Argentina) ছুটি কাটাচ্ছেন। তবে প্রথম থেকে ছিলেন আর এক তারকা নেইমার (Neymar)। তিনি লাল কার্ড (Red Card) দেখে বসলেন। ৬১ এবং ৬২ মিনিটে পরপর দুটো হলুদ কার্ড দেখায় মাঠ ছাড়তে হল তাঁকে। ১০ জনে হয়ে যাওয়ার পরেও পিএসজির জয়ের কাণ্ডারি এমবাপে।
বুধবার রাতে অপেক্ষাকৃত বেশ খানিকটা দুর্বল স্ট্রাসবুর্গের বিরুদ্ধে খেলা ছিল নেইমারদের। পার্ক ডে প্রিন্সেস মাঠে (Parc De Princess) ব্রাজিলীয় তারকার শুরুটা ভালই হয়েছিল। ১৪ মিনিটে তাঁর নিখুঁত ফ্রিকিকে মাথা ছুঁইয়ে ১-০ করেন আর এক ব্রাজিলীয় মারকুইনহোস (Marquinhos)। কিন্তু এদিন তাঁকে বার বার ফাউল করছিলেন স্ট্রাসবার্গের প্লেয়াররা। তা নিয়ে মেজাজ খাপ্পা হয়েছিল নেইমারের। দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই আবার শুরু হয় বিশ্রী ট্যাকলিং। এর মধ্যে আবার মারকুইনহোসের আত্মঘাতী গোলে ১-১ হয়ে যায়। ম্যাচের তখন ৫১ মিনিট।
আরও পড়ুন: Erling Braut Haaland: আবার নতুন কীর্তি, ইপিএলে কোনও রেকর্ড আস্ত রাখবেন না এর্লিং হালান্ড!
স্ট্রাসবুর্গের থোমাসন প্রথম দিকেই বিরক্ত করছিলেন নেইমারকে। তাঁকে ফাউল করেই প্রথম হলুদ কার্ড (Yellow Card) দেখেন ব্রাজিলীয় তারকা। ১ মিনিটের মধ্যেই তাঁকে বক্সের মধ্যে থ্রু পাস বাড়ান এমবাপে। কিন্তু ডিফেন্ডারের ছোঁয়ায় পড়ে যান তিনি এবং পেনাল্টির আবেদন করতে থাকেন। কিন্তু রেফারি জানিয়ে দেন, কোনও ফাউলই হয়নি, উল্টে প্লে অ্যাক্টিংয়ের (Play Acting) জন্য হলুদ কার্ড দেখিয়ে দেন। দুটো হলুদ দেখে মাঠ ছাড়েন নেইমার।
মেসি-রোনাল্ডো পরবর্তী যুগে কেন তাঁকেই সেরা ভাবা হচ্ছে তা আরও একবার দেখিয়ে দিলেন এমবাপে। সংযুক্ত সময়ে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে শট মারতে গেলে তাঁকে ফাউল করা হয়। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। যদিও এমবাপের শট গোলকিপারের হাতে লেগে ফিরে এলে মারকুইনহোস জালে জড়িয়ে দেন। কেন সেই গোলকে আগে মান্যতা দেওয়া হবে না এই দাবিতে রেফারিকে ঘিরে ধরেন পিএসজি ফুটবলাররা। কিন্তু পেনাল্টির সিদ্ধান্তই বহাল হয়। ঠান্ডা মাথায় বল গোলে রাখেন এমবাপে। এরপরেই শেষ বাঁশি বাজে।