কলকাতা: হুয়ান ফেরান্দোর জন্য খারাপই লাগছে। কিছুদিন আগেও সব ধরনের টুর্নামেন্টে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল মোহনবাগানের (Mohonbagan) জয়রথ। রক্ষণ থেকে মাঝমাঠ হয়ে আক্রমণ, কোথাও কোনও খুঁত ছিল না। কোনও এলাকায় হঠাৎ যেমন মড়ক লাগে, যেন সেরকমটাই হল বাগান শিবিরে। একের পর এক চোট, আনোয়ার আলি, আশিক কুরুনিয়ন। তারপরে দিমিত্রি পেত্রাতস, মনবীর সিং। দলটা পরিণত হল মিনি হাসপাতালে। মুম্বইয়ের মাঠে গিয়ে হল আইএসএলের প্রথম হার। তার থেকেও খারাপ, লাল কার্ড দেখলেন দুই ডিফেন্ডার হেক্তর ইউস্তে আর আশিস রাই। রেফারিকে মেজাজ দেখিয়ে লাল কার্ড দেখেন লিস্টন কোলাসোও। সেদিনই মনে হয়েছিল, যুবভারতীতে গোয়া এফসি-র বিরুদ্ধে বিপর্যয় ঘটতে পারে। ঠিক তা-ই হল, গোয়ার কাছে ৪-১ ফলে হারল মোহনবাগান। প্রথম ছয় ম্যাচে অপরাজিত থাকার পর পরপর দু’ ম্যাচে হার।
শেষ পাঁচ ম্যাচ কোনও গোল হজম করেনি গোয়ার রক্ষণ। টানা ৫০০ মিনিট তাদের গোলে বল পুরতে পারেনি কেউ, যা আইএসএলের ইতিহাসে রেকর্ড। তবে এই জমাট রক্ষণে যদি কেউ ছিদ্র করতে পারে তা মোহনবাগানের আক্রমণ। শুরুটা তেমনই হয়েছিল। আর্মান্দো সাদিকু, জেসন কামিংসরা গোয়ার বক্সে ত্রাসের সঞ্চার করছিলেন। কিন্তু খেলা ঘুরে গেল একটা পেনাল্টি থেকে। রেফারিং নিয়ে ইদানীং কলকাতার দুই প্রধান অসন্তোষ প্রকাশ করলেও আজ যে পেনাল্টি গোয়াকে দেওয়া হল তা ন্যায্য। বক্সের মধ্যে প্রথমে ফাউল তারপর হ্যান্ডবল করলেন মনবীর। রেফারি কোন অপরাধে পেনাল্টি দিলেন বোঝা গেল না, সম্ভবত হ্যান্ডবলের জন্যই।
আরও পড়ুন: ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে ইংল্যান্ড দলে চমক
গোল দিয়ে ওড়িশা খেলা ধরতেই বোঝা গেল, বাগান ডিফেন্সের হাঁড়ির হাল। মাঝখানে ব্রেন্ডন হ্যামিল, তাঁর বাঁ দিকে সুমিত রাঠি আর ডাইনে দীপক টাংরি। এই শেষজনের খেলা চোখে দেখা গেল না। দ্বিতীয় গোল না হয় গোয়ার দুর্দান্ত টিম গেমের ফসল, কিন্তু তৃতীয় গোল লজ্জাজনকভাবে হজম করল মোহনবাগান। আর শেষের দিকে ক্লান্ত অনিরুদ্ধ থাপার ভুলে আবার পেনাল্টি পায় গোয়া। জোড়া গোল করে ম্যাচের নায়ক আমেরিকান ফরোয়ার্ড নোয়া সাদাউই। মোহনবাগানের হয়ে একমাত্র গোল পেত্রাতসের। প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে দুরন্ত ফ্রিকিকে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি। এ ম্যাচে সবুজ-মেরুনের হয়ে বলার মতো ঘটনা এই একটাই।