কলকাতা: আচার্যের (Chancellor) নিষেধ ধোপেই টিকল না। প্রায় ৩ হাজারের বেশি হাজার পড়ুয়া ও গবেষকের মুখের দিকে তাকিয়ে কোর্ট বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) উপাচার্য (Vice Chancellor) বুদ্ধদেব সাউ সমাবর্তন পরিচালনা করবেন। এমনটাই জানিয়েছেন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। উপাচার্যের উপস্থিতিতে হবে যাদবপুরের সমাবর্তন। কোর্ট বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত। বৈঠক থেকে বেরিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে জানালেন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ ও রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু।
রবিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন সম্পন্ন করানোর জন্য বুদ্ধদেব সাউকে বিশেষ ক্ষমতা দিয়েছিল রাজ্য শিক্ষা দফতর। শেষ পর্যন্ত আচার্যের অনুমতি ছাড়াই শুরু হয়ে গেল সমাবর্তন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোর্টের বৈঠকের পর শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের কিছুটা পরে। সেখানে পৌরোহিত্য করেন রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। সহ-উপাচার্য অমিতাভ দত্ত পড়ুয়াদের হাতে তুলে দিলেন শংসাপত্র। পাশেই বসে থাকলেন সদ্য অপসারিত উপাচার্য।
আরও পড়ুন: বড়দিনে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হবে কলকাতা
উপাচার্য অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউ সমাবর্তন পরিচালনার দায়িত্ব সহ উপাচার্য অমিতাভ দত্তের উপর তুলে দিলেন। সহ উপাচার্য সেই দায়িত্ব গ্রহণ করলেন।
রবিবার সকালে কৌর্টের বৈঠকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন জুটার প্রস্তাব সহ-উপাচার্যকে সামনে রেখে সমাবর্তন করে দেওয়া হোক। এ দিকে রাজভবনের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হল, উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে তদন্ত কমিটি গড়ে তোলা হবে। পড়ুয়াদের থেকে যে সমাবর্তনের জন্য যে টাকা নেওয়া হয়েছে, তা উপাচার্য এবং অন্য দায়িত্বপ্রাপ্তদের বেতন থেকে কেটে নেওয়া হবে। উপাচার্যের অনুমতি ছাড়াই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হচ্ছে সমাবর্তন। সেই কথা জানিয়ে সেখানে উপস্থিত থাকছেন না ইউজিসির চেয়ারম্যান।
রবিবার সমাবর্তনে পড়ুয়াদের হাতে যে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হচ্ছে, তাতে উপাচার্য হিসাবে বুদ্ধদেবের সই রয়েছে। এ দিকে শনিবারই তাঁকে অপসারণ করা হয়েছে রাজভবনের তরফে। এই পরিস্থিতিতে শংসাপত্র পরে বদলও করতে হতে পারে।
সমাবর্তন নিয়ে জটের মাঝেই রাজভবনের তরফে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য পদ থেকে শনিবার রাতে সরানো হয় বুদ্ধদেবকে। তার পরেই প্রশ্ন ওঠে, রবিবার কি আদৌ সমাবর্তন হবে? এর মধ্যেই সমাবর্তন যাতে হয়, সে জন্য উপাচার্যকে বিশেষ ক্ষমতা দিল রাজ্য শিক্ষা দফতর। বিজ্ঞপ্তিতে জানাল, রবিবারের জন্যই এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সেখানে আরও জানানো হল। ২০২৩ সালের ১৭ অগস্ট বুদ্ধদেবকে উপাচার্য পদে বসানো হয়েছিল। উপাচার্যের কর্তব্য পালনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
২৩ ডিসেম্বর, শনিবার আচমকা সেই ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়। অথচ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য একক ভাবে এ ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। তার পরেই ২৪ ডিসেম্বর সমাবর্তন করানোর জন্য বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয় বুদ্ধদেবকে।
অন্য খবর দেখুন