জলপাইগুড়ি : জলপাইগুড়ির পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে এসেছেন জলপাইগুড়ি বনবিভাগের ডিএফও মৃদুল কুমার। পরিস্থিতি দেখার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, আপাতত হাতি দুটিকে এখান থেকে সরানো হবে না। চলবে নজরদারি। সন্ধে নামলে তাড়ানোর চেষ্টা হবে। প্রয়োজনে ঘুম পাড়ানি ওষুধও ব্যবহার করা হতে পারে।
রবিবার ভোর রাতে হাতির উপদ্রবে জলপাইগুড়ি শহরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। রাতের অন্ধকারে দুটো হাতি ঢুকে পড়ে শহরে। অনুমান, বৈকন্ঠপুরের জঙ্গল ছেড়ে তিস্তার পার ধরে দুটি হাতি জলপাইগুড়ি শহরে হানা দেয়। তারপর আসে কোভিড হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায়। হাতি দুটি জলপাইগুড়ির এ সি কলেজ বয়েস হস্টেলের পেছনে থাকা করলা নদী সংলগ্ন এলাকার একটি ঝোপে আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে থাকা বিভিন্ন গাছপালা ভেঙে খাচ্ছে। জানার পরই ঘটনাস্থলে বনদফতরের কর্মীদের পাশাপাশি পদস্থ আধিকারিক ও ৩টি এলিফ্যান্ট স্কোয়াড পৌঁছে যায়।
আরও পড়ুন : সাতসকালে হাতির তাণ্ডব, জলপাইগুড়ি শহরে জারি ১৪৪ ধারা
জঙ্গলে ঝোপের ভিতর হাতি আটকে থাকায় উদ্ধারকাজে বনদফতরের কর্মীদের কিছুটা অসুবিধার সম্মুখীনই হতে হয়। জলপাইগুড়িতে ইতিমধ্যেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।