বর্ধমান: র্যাগিংয়ের ঘটনায় ফের শিরোনামে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। এবার র্যাগিংয়ের শিকার হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রী। ছাত্রীর অভিযোগ, তাঁকে হস্টেল থেকে বের করে দেওয়ার জন্য খাবার বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে অভিযোগকারিণী ছাত্রীর বাড়ি বাঁকুড়ায়। তিনি প্রথমে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর করেছেন। তার পর ওম্যান স্টাডিজ-এ স্নাতকোত্তরে ভর্তি হন। কিন্তু বিষয়টি ভাল না লাগায় তিনি এডুকেশনে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হন।
আরও পড়ুন: বর্ধমান মেডিক্যালের ১০ সাসপেন্ডেড পড়ুয়াকে ক্লাস করার অনুমতি দিল হাইকোর্ট
র্যাগিংয়ের শিকার ওই ছাত্রী জানান, এডুকেশনে তৃতীয় সেমিস্টার পর্যন্ত নিয়মিত ক্লাস করে পরীক্ষা দিয়েছেন। কিন্তু চতুর্থ সেমিস্টারের সময় ব্যক্তিগত কিছু সমস্যার কারণে নিয়মিত ক্লাস করতে পারেননি। পরীক্ষাও দিতে পারেননি। এখন চতুর্থ সেমিস্টারে ক্লাস করা ও পরীক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিয়েছে বলে ওই ছাত্রী জানান। কিন্তু গোল বাধে তাঁর হস্টেলে থাকা শুরু করতেই। বর্তমান মেস কমিটি তাঁকে হস্টেলে থাকতে দেবে না বলে নানাভাবে মানসিক অত্যাচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। গোটা বিষয়টি সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার সহ অন্যান্য আধিকারিকদের কাছে ই-মেলে অভিযোগ করেছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউজিসি-র অ্যান্টি র্যাগিং সেলেপ জানিয়েছেন পুরো ঘটনা।
যদিও অভিযুক্ত অদিতি গুপ্তা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, শিক্ষাবর্ষ শেষ হয়ে গেলেও গত ৪ বছর ধরে ওই ছাত্রী হস্টেলে রয়েছেন সুপার সিনিয়র হিসেবে। এখন প্রথম বর্ষের ছাত্রীরা আসছে। তাই তাঁকে হোস্টেল ছাড়ার জন্য বলা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমানে এমবিএ-এর ছাত্র তথা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য কমিটির সম্পাদক খোন্দেকার আমিরুল ইসলাম ওরফে রামিজ বলেন, হস্টেলে থাকার ব্যাপারে ছাত্র সংসদের কোনও ভূমিকাই নেই। সেটা বিশ্ববিদ্যালয় ঠিক করে। এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির কনভেনার পার্থ মিত্র বলেন যে, এই অভিযোগ পেলেও তেমন কোও প্রমাণ তাঁরা পান নি। অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে তিনি জানান।
দেখুন অন্য খবর: