জঙ্গলমহল: বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও ‘রেল রোকো’ (Rail Roko) আন্দোলনে অনড় কুড়মিরা (Kurmi)। আদিবাসী কুড়মি সমাজের ডাকে পুরুলিয়া (Puruliya) জেলার কুস্তাউর (কুশটাড়) রেল স্টেশনে পুনরায় শুরু হয়েছে রেল ও সড়ক অবরোধ। যার জেরে সকাল থেকেই বাতিল (Cancel) করা হয়েছে একাধিক ট্রেন (Train)। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে বাঁকুড়া (Banura)স্টেশনের উপর দিয়ে যাওয়া, পুরুলিয়া-সাঁতরাগাছি রুপসী বাংলা এক্সপ্রেস, খড়্গপুর-রাঁচি আপ ও ডাউন, খড়্গপুর-হাটিয়া আপ ও ডাউন এবং হাওড়া-পুরুলিয়া আপ পুরুলিয়া এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে পুরুলিয়া হাওড়া ডাউন পুরুলিয়া এক্সপ্রেসের যাত্রাপথ। এর ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েন নিত্য যাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ।
এদিকে কুড়মি সমাজের আন্দোলনকে ঘিরে রীতিমত মেলা বসেছে স্টেশনে। আন্দোলনে যোগ দিতে আসা মানুষজন স্টেশনেই যে যার মতো করে সংসার পেতেছে। দূর থেকে দেখতে বোঝার উপায় নেই আন্দোলন নাকি মেলা। এরই মাঝে রাজ্য সড়ক থেকে শুরু করে রেল স্টেশন চত্বর চারদিকে পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তাঁদের মোতায়ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Bankura TMC | সিপিএম-বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান ৭০ পরিবারের, নাটক বলে কটাক্ষ বিজেপির
মূলত, কুড়মি (Kurmi) সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে তাদের এই কর্মসূচি। গত বছর রাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও সি আর আই রিপোর্ট (CRI or Cultural Research Institution) যথাযথ ভাবে না পাঠানোর কারণেই তাদের দ্বিতীয় বার পথে আন্দোলনে নামতে হয়েছে বলে দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা।
কুড়মি সমাজের অভিযোগ, বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এর আগে গত বছর টানা ৫ দিন ধরে একই দাবিতে এই রেল স্টেশনে অবরোধ অবরোধ করা হয়েছিল। একাধিক প্রশাসনেরকাছে দরবার করা হয়েছে। তাতেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। কুড়মি সমাজের নেতা অজিত মাহাত বলেন, তাই এই রেল রোকো আন্দোলনে শামিল হয়েছে সমগ্র আদিবাসী কুড়মি সমাজ। এই লড়াই এই লড়াই তাঁদের ভাষা এবং ধর্মের জন্য। এবার আর শুকনো প্রতিশ্রুতি বা নিছক আলোচনা ভুলছিনা। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।