ওন্দা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Abhishek Banerjee) রাজনৈতিক সভার প্রস্তুতি পর্বে জয়পুরে বিজেপি (BJP) ও সিপিএম (CPM) ছেড়ে তৃণমূলের (TMC) ঝাণ্ডা ধরলেন ৭০টি পরিবার। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলে যোগদান, নতুন করে রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়েছে ওই এলাকায়। যদিও এ বিষয়ে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিরোধীরা।
প্রসঙ্গত, ১২ এপ্রিল বাঁকুড়ায় (Bankura) তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক সভা রয়েছে। সেই সভার প্রস্তুতি পর্বে বুধবার বাঁকুড়ার জয়পুরে যোগদান মেলা ছিল তৃণমূলের। গতকাল বিকেলে বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের মাগুরায় সিপিএম ও বিজেপি ছেড়ে ৭০টি পরিবার তৃণমূল শিবিরে যোগদান করেন। এই যোগদানর বিষয়ে তৃণমূলের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উন্নয়নে সামিল হতেই এদিন বিজেপি ও সিপিএমের বেশ কিছু পদাধিকারিদের নেতৃত্বে পরিবারগুলি তৃণমূলের ঘরে এসেছে। এই এই যোগদান মেলাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজপি (BJP)। তাদের মতে, এটা নাটক ছাড়া আর কিছুই নয়।
রাজ্য ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) দিন ঘোষনা না হলেও সব রাজনৈতিক দলের এখন লক্ষ্য নির্বাচন। প্রত্যেক রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের দলের সাংগঠনিক প্রস্তুতি সহ মিটিং ও সভা করছেন রাজ্য জুড়ে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই আগামী ১২ এপ্রিল বাঁকুড়ার ওন্দায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করবেন। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই সভাকে সফল করতে ইতিমধ্যে ময়দানে নেমে পড়েছে। ব্লকে ব্লকে এই সভার প্রস্তুতির মধ্যে দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগাম সাংগঠনিক কাজ সেরে নিচ্ছে ঘাসফুল শিবির। তারই উদাহরণ হিসেবে গতকালকের যোগদান। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে এই যোগদান ওন্দায় তৃণমূলকে বাড়তি অক্সিজেন দেবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংস।
বুধবার জয়পুরের মাগুরায় তৃণমূলের সভায় বিজেপি ও সিপিএম ছেড়ে ৭০টি পরিবার তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তৃণমূল দাবি করেছে, বিজেপি ও সিপিএম বেশ কিছু পদাধিকারিকদের হাত ধরে ৭০টি পরিবার তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্য্যক্রমে সামিল হতেই পরিবারগুলি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এমনকী আগামী দিনে এই যোগদানের ঢল আরও নামবে বলেও আশাবাদী তৃণমূল নেতৃত্ব। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে এই এলাকার বিধানসভার আসন হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। সেই হারানো ভোট ব্যাঙ্ক ফিরিয়ে আনতে ও সংগঠনকে মজবুত করাই এখন প্রদান লক্ষ্য ঘাসফুল শিবিরের। এই যোগদানের মধ্যে দিয়ে দলের শক্তিবৃদ্ধি হবে বলেই মত দলীয় নেতৃত্বের। যদিও তৃণমূলের এই যোগদান মেলাকে সিপিএম নেতৃত্বও কটাক্ষ করেছে। তাদের দাবি, এই যোগদানের খবর ভিত্তিহীন।