জয়পুর: কমরেডদের বাড়ির বউদের পরিবারের সদস্যদের চাকরি হয়েছে। এর তদন্ত হবে হুঁশিয়ারি তৃণমূল সভাপতির। যদিও এই দাবিকে অস্বীকার করে বামেদের বক্তব্য, বামফ্রন্টের পরিবারের কেউ বেনিয়মভাবে চাকরি পায়নি। শাসক-বিরোধী বিতর্ককে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা।
শুক্রবার বিকেলে বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের গেলিয়াতে দলীয় সভায় আয়োজন কর তৃণমূল। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল ব্লক সভাপতি কৌশিক বটব্যাল। সেখানে বক্তৃতা রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, সিপিএমের বাড়ির বউদের পরিবারের লোকজনেরা চাকরি পেয়েছে। কার, কীভাবে চাকরি হয়েছে তা আমাদের জানা আছে। এগুলো এবার তদন্ত হবে মানুষের সামনে তুলে ধরা হবে। এলাকার কোন সিপিএম নেতাদের ঘরে ঘরে চাকরি হয়েছে তাও আমরা জানি। তৃণমূল সভাপতির এই হুশিয়ারিকে চ্যালেঞ্জ করে জয়পুর বাম নেতৃত্বের পালটা হুশিয়ারি, বেনিয়মে কোনও চাকরি হয়নি। সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফল পেয়ে যাবে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: Howrah Metro | রবিবার নয়, গঙ্গার নীচে মেট্রোর ট্রায়াল রান কবে জেনে নিন
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে বেশ কোনঠাসা শাসক দল তৃণমূল। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে উঠে আসছে তৃণমূলের একাধিক নেতাদের নাম। এরই মাঝে তৃণমূল এবার অভিযোগ তুলেছে বাম আমলে চিরকুটে চাকরির প্রসঙ্গ। বিভিন্ন সভাতেও তৃণমূল নেতৃত্ব প্রশ্ন তুলে বাম আমলে কমরেডদের আত্মীয়-পরিজনদের চাকরি হয়েছে বলে দাবি করেছে। তাতে অস্বস্তি বেড়েছে বাম নেতৃত্বের এমনটা মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। শুক্রবার বাঁকুড়ার জয়পুরের গেলিয়াতে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচীর সভায় জয়পুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি কৌশিক বটব্যাল রাজ্য তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের পথ অনুসরন করে বাম আমলের চাকরির বিষয় সামনে আনেন।
তিনি আরও বলেন, জয়পুর ব্লকের সিপিএমের বউদের আইসিডিএসে চাকরি হয়েছে। জয়পুর এলাকায় জেলাপরিষদের সিপিএমের প্রাক্তন সভাধিপতির বাড়ির সদস্যরা কেউ চাকরি থেকে বঞ্চিত হননি। জয়পুর এলাকায় কমরেডদের পরিবারের লোকজনদের হাসপাতাল, পঞ্চায়েতে, পঞ্চায়েত সমিতিতে ও জেলাপরিষদে চাকরি হয়েছে। কীভাবে চাকরি হয়েছে, এর তদন্ত হবে আমরা সব জানি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাম আমলে বাম পরিবারের লোকজনের চাকরি এবার ভোটের ইস্যু করতে চাইছে তৃণমূল। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়পুর ব্লকের সিপিএম পার্টির কমরেডদের বাড়ির পরিবারের কার, কী চাকরি হয়েছে, সেই তালিকা নিয়ে ভোট প্রচারে ভোটারদের সামনে তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন জয়পুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি।।