বোলপুর: ইউনেস্কোর (Unesco) ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ (World Heritage) তকমা পেয়েছে শান্তিনিকেতন (Santiniketan)। এবার শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্র ঐতিহ্যমণ্ডিত স্থানগুলিকে রক্ষার্থে গান্ধীবাদী বিশ্বভারতীর উপাচার্য (Vice Cchancellor) বিদ্যুৎ চক্রবর্তী । যান নিয়ন্ত্রণে জোড় হাত করে চালকদের অনুরোধ জানান উপাচার্য।
সদ্য ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ স্বীকৃতি লাভ করেছে রবি ঠাকুরের শান্তিনিকেতন। শান্তিনিকেতনের পোস্ট অফিস মোড় থেকে কালিসায়ের সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তা রাজ্য সরকারের। রাস্তার দুই পাশে রয়েছে শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যমণ্ডিত রবীন্দ্র স্থানগুলি। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ বিশ্বভারতীকে উপদেশ দিয়েছে এই রাস্তার উপর ভারী যানবাহন চলাচল করলে শতাব্দী প্রাচীন রবীন্দ্রনাথের বাড়ি, ভাস্কর্য ধ্বংস হতে পারে।
আরও পড়ুন: বারুইপুরের ঘোষবাড়িতে শতাব্দীপ্রাচীন দুর্গাপুজো, একসময় আসতেন খোদ লর্ড ক্যানিং
খুব স্বাভাবিকভাবেই শান্তিনিকেতনের সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তা যাতে বিশ্বভারতী যান নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তাই সেই রাস্তা ফিরে পাওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য। বিশ্বভারতীকে রাস্তা দিলে অপব্যবহার করবে, রাস্তা হস্তান্তর করবেন না পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল শান্তিনিকেতনের বাসিন্দারা। এখন খাতা-কলমে শান্তিনিকেতনে এই সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তা রাজ্য সরকারের। শনিবার সকাল থেকে যান নিয়ন্ত্রণ শুরু করেছিল বিশ্বভারতী। তাতে কোনও ফল হয়নি। খুব স্বাভাবিকভাবেই এদিন বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী পথে নামলেন। জোড় হাত করে গান্ধীগিরির পথ অবলম্বন করলেন তিনি।
দেখুন আরও অন্য খবর: