সাগর: কথায় আছে ‘সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর একবার’। গঙ্গাসাগর মেলা মানেই দেশ-বিদেশের পুণ্যার্থীদের কাছে একটি আবেগ, বিশ্বাস এবং পুণ্য লাভের জায়গা। ৮ জানুয়ারি শুরু হয়েছে এবারের গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar Mela)। মেলার শুরুতেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার পুণ্যার্থী গঙ্গাসাগরে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন। কুম্ভ মেলার পরেই দেশের সবথেকে বড় মেলা হিসেবে ধরা হয় গঙ্গাসাগর মেলাকে। এই মেলাকে জাতীয় মেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। প্রতিবছরই গঙ্গাসাগর মেলায় দেশ-বিদেশ থেকে কপিলমুনির মন্দির দর্শন এবং পুণ্যস্নানের জন্য ছুটে আসেন লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী।
এবারের গঙ্গাসাগর মেলায় ছবিটাও ঠিক একই। মেলার শুরু থেকেই দেশ-বিদেশ থেকে পুন্যার্থীরা আসতে শুরু করেছে গঙ্গাসাগরে। রবিবার মধ্যরাত থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত মকরস্নানের পূণ্যতিথি। রবিবারের ভোর রাত থেকেই পুণ্যার্থীদের উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়ল। ভিড় সামলাতে গোটা সাগর কড়া নিরাপত্তার মুড়ে ফেলা হয়েছে। সাগরে টহল দিচ্ছে ভারতীয় নৌবাহিনী, উপকূল রক্ষী বাহিনী ও এনডিআরএফের স্পিডবোট। আকাশে ওড়ানো হচ্ছে ড্রোন। রবিবার দিনভর লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী মেলায় আসবেন। সে কারণেই তটের একাধিক ওয়াচ টাওয়ার থেকে চলছে নজরদারি। এদিন সকাল থেকেই সাগরস্নানের পর কপিলমুনি মন্দিরের সামনে পুণ্যার্থীদের লম্বা লাইন দেখা যায়।
আরও পড়ুন: জেলাপরিষদের সরকারি সম্পত্তি ভাঙার অভিযোগ উঠল গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে
এই আবহে পূণ্যার্থীদের ভিড় সামলাতে কলকাতা থেকে কাকদ্বীপ পর্যন্ত একাধিক বাফার জোন তৈরি করা হয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণে রয়েছে ৩৪টি ওয়াচ টাওয়ার। ১১০০ সিসি ক্যামেরা ও ড্রোনের মাধ্যমে নজদারি চলছে সবসময়। রেকর্ড সংখ্যক পূণ্যার্থীর সুবিধার্থে এবছর দশ হাজারের বেশি শৌচাগার তৈরি হয়েছে সাগরে। গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গনে মোট ১৪ হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও ২৪০০ সিভিল ডিফেন্সের কর্মীকে মোতায়ন করা হয়েছে সেখানে।
আরও খবর দেখুন