জলপাইগুড়ি: অনুমতি ছাড়াই জেলাপরিষদের (Zilla Parishad) সরকারি সম্পত্তি (Government Property) ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠল খোদ তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের (Gram Panchayat) বিরুদ্ধে। ঘটনায় রীতিমতো জেলা পরিষদ ও বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে গ্রাম পঞ্চায়েতের ভূমিকা। বানারহাট ব্লকের সাঁকোয়াঝোরা-১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে এমনটাই গুরুতর অভিযোগ।
আংরাভাসা এলাকায় স্থানীয় একটি ক্লাবের দখলে থাকা জেলা পরিষদের জমিতে কয়েক বছর আগে সরকারি অর্থ ব্যয় করে একটি শৌচাগার নির্মাণ করা হয়। তার জন্যে খরচও হয় কয়েক লক্ষাধিক টাকা। এলাকাবাসীর সুবিধার্থে সেই শৌচাগার নির্মাণ করা হয়। আর সেই শৌচাগার ভেঙে ফেলার অভিযোগ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। এমনকী এই নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের থেকে কোনও প্রকার রেজুলেশন করা হয়নি বলছেন গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা। আর যাকে ঘিরে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে সাঁকোয়াঝোরা-১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যুরহস্যের কিনারা আজও হয়নি
কিন্তু কেন এভাবে ভেঙে ফেলা হল সরকারি অর্থে নির্মিত শৌচাগার? খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় সেই জায়গায় গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে প্রায় ২৯ লক্ষ টাকা ব্যয় করে একটি কমিউনিটি হল করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে এলাকার উপ-প্রধান গোপাল চক্রবর্তী। ইতিমধ্যেই তার টেন্ডার পক্রিয়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কাজের বরাত পেয়েছেন তাঁরই এক ঘনিষ্ঠ দলীয়কর্মী। প্রশ্ন উঠছে জেলা পরিষদের জমিতে গ্রাম পঞ্চায়েত কী করে জেলা পরিষদের অনুমতি (NOC ) ছাড়া কমিউনিটি হল করা সিদ্ধান্ত নেয়?
সাঁকোয়াঝোরা-১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা দীপু মন্ডলের কথায়, শৌচাগার ভাঙার জন্য কোনওভাবেই গ্রাম পঞ্চায়েতে রেজুলেশন করা হয়নি। এভাবে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করতে পারে না। বিষয়টি দলীয় নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। জেলা পরিষদের জায়গা জেলা পরিষদের বিষয়টি দেখা উচিত। আর না হলে পরে আমাদের দলীয় নেতৃত্বে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। এলাকার বাসিন্দা হৃদয় সিংহ বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে শৌচাগারটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এখানে নাকি কমিউনিটি হল নির্মাণ করা হবে।
যদিও এ বিষয়ে একাধিকবার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি সীমা চৌধুরী জানান, শৌচাগার ভাঙচুর করার বিষয়টি তাঁর জানা নেই । তিনি খোঁজখবর নিয়ে দেখবেন। যদি কেউ সরকারি জেলা পরিষদের সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করে, জোর করে দখল করার চেষ্টা করে, জেলা পরিষদের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আরও খবর দেখুন