হেলথ টিপস: বাড়তি ওজন নিয়ে অনেকেই চিন্তিত। ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে নানান রোগ বাসা বাঁধে। ওজন ঝরাতে বিভিন্ন রকম ডায়েট করে অনেকেই। ওজন কমাতে অনেকেই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং নামে এক ধরনের ফাস্টিং (Fasting) করে থাকে। কিন্তু কেবল জল খেয়েই ওজন ঝরানো যায়। একে বলা হয় ওয়াটার ফাস্টিং (Water Fasting)। ইদানীংকালে ওজন কমাতে এই ফাস্টিং বেশ কার্যকর।
কী এই ‘ওয়াটার ফাস্টিং’?
পুজোআচ্চায় বা নানা ধরনের পার্বনে অনেকেই ফাস্টিং অর্থাৎ উপোস করে থাকে। ‘ওয়াটার ফাস্টিং’ হল এমন একটি উপবাস যাতে জল ছাড়া আর কিছুই খাওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আপনাকে কেবল জল খেয়েই থাকতে হবে। ‘ওয়াটার ফাস্টিং’ করলে শরীর থেকে টক্সিন পদার্থগুলি বেরিয়ে যায়। যেহেতু এই ফাস্টিংয়ের সময় কোনও খাবার শরীরে যায় না, তাই শরীরে কোনও ক্যালোরিও তৈরি হয় না। অন্যকোনও ডায়েট করলে শরীরে ২০ থেকে ৪০ শতাংশ ক্যালোরি কম ঢোকে। তবে এই ডায়েটে শরীরে কোনও ক্যালোরিই যায় না।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, ওয়াটার ফাস্টিং করলে কিছু ক্ষেত্রে ক্যানসার, হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি কমতে পারে। কারণ ওয়াটার ফাস্টিং সরাসরি অটোফ্যাজির সঙ্গে সংযুক্ত। চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থেকে ওয়াটার ফাস্টিং উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
আরও পড়ুন: কোলেস্টেরল কমাতে মেনে চলুন এই ৬ নিয়ম
ওজন হ্রাস ছাড়াও এই ডায়েটের অন্যান্য উপকারিতা:
- জল খেয়ে উপোস করলে শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বেরিয়ে যায়।
- শরীরের কোষগুলির উপর ইনসুলিনের প্রভাব বেড়ে যায়। ফলে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- ওয়াটার ফাস্টিংয়ের ফলে শরীরে লেবটিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। এই হরমোন খিদের অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে জল খেয়ে উপোস করলে খিদে কম পাবে, ওজন বশে থাকবে।
ওয়াটার ফাস্টিং সম্পর্কে সচেতনতা:
ওয়াটার ফাস্টিং করে বহু মানুষের একটা নির্দিষ্ট মাত্রায় ওজন কমেছে ঠিকই, কিন্তু তা সর্বৈব নিরাপদ নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ধরনের ওয়াটার ফাস্টিং করা একেবারেই উচিত নয়। ওয়াটার ফাস্টিং মানেই তরল পানীয় খেয়ে থাকা নয়। এই সময়ে ডিটক্সিফাইং ওয়াটার, লেবুর রস, ফলের শরবত খাওয়া যায়। ডায়াবিটিসের রোগীদের উপোস করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনটি একাধিক বই, তথ্য এবং বিশেষজ্ঞদের থেকে পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি। ওজন কমাতে ওয়াটার ফাস্টিং-এর ভালো-মন্দ কোনও প্রভাবের জন্য কলকাতা টিভি ডিজিটাল টিম দায়বদ্ধ নয়। কোনও তথ্য বিশ্বাস বা প্রয়োগের করার আগে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
আরও খবর দেখুন