দুর্গাপুর: পশ্চিম বর্ধমান জেলার নাম বদলে আসানসোল-দুর্গাপুর করতে হবে, এমনই দাবি করলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সোমবার দুর্গাপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলন থেকে শাসকদলকে এমনই তীর্যক মন্তব্য করেন জিতেন্দ্র।
আদালতের নির্দেশে তিনি আসানসোল শহরে ঢুকতে পারবেন না। তাই দুর্গাপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলাকে আসানসোল-দুর্গাপুর জেলা হিসেবে ঘোষনা করার জন্য আন্দোলনের রূপরেখার কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: Burdwan Incident | মায়ের চোখের আড়ালে বালতি ভর্তি জলে ডুবে মৃত্যু দেড় বছরের শিশুর
গত ২০১৭ সালে দুর্গাপুর নগরনিগম নির্বাচনে তৃণমূলের জেলা সভাপতি ছিলেন পাণ্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক জিতেন্দ্র তেওয়ারি। ২০২১ এর আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। এদিন জিতেন্দ্র বলেন, সেইদিন পাপ করেছিলাম। দলের উচ্চ নেতৃত্বের মদতে আজ সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে। তখন কারও জেতার ক্ষমতা ছিল না। মানুষের রায়কে উপেক্ষা করে সেইদিন জোর করে ভোট করাতে হয়েছিল নাহলে কেউ জিততে পারতো না। ২০১২ সালে বামেদের সরিয়ে তৃণমূল দুর্গাপুর নগরনিগমে ক্ষমতায় আসে। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে তৃণমূল পরিচালিত দুর্গাপুর নগরনিগমের কার্যকলের মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু কৌশলে গত পুর বোর্ডের প্রাক্তন মেয়র ডেপুটি মেয়র ও তিন মেয়র পারিষদকে নিয়ে প্রশাসক মণ্ডলি তৈরি হয়। সেই প্রশাসক মণ্ডলি শহরের ৪৩টি ওয়ার্ডের নাগরিক পরিষেবা দিচ্ছে।
ইতিমধ্যে বামেরা দুর্গাপুর নগরনিগমে অবিলম্বে প্রশাসক মণ্ডলি সরিয়ে নির্বাচন করার দাবি জানিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে। একই পথে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। গত পুর নির্বাচনে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ রয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সূত্রমাফিক জানা গিয়েছে, চলতি বছরেই দুর্গাপুর নগর নিগমের নির্বাচন হওয়ার কথা। এখন তার আগে শাসকদলকে চাপে রাখতে বিজেপির এই কৌশল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পাশাপাশি আর পশ্চিম বর্ধমান নয়, এবার এই জেলার নামকরণ হোক আসানসোল-দুর্গাপুর। এই দাবিতে এবার বিজেপি জেলা নেতৃত্ব যখনই কোনও কর্মসূচি করবে সেখানে এই দাবি তুলবে, কারণ এটা আসানসোল-দুর্গাপুরবাসীর কাছে একটা বড় প্রাপ্তি হবে বলে দাবি জিতেন্দ্রর। যদি আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ হতে পারে, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট হতে পারে, তাহলে জেলার নাম কেন নয় আসানসোল-দুর্গাপুর হবে না বলে প্রশ্ন তোলেন তিনি।