কলকাতা: রাজ্য সরকার সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে রেমাল ঝড়ে (Cyclone Remal) কয়েক লক্ষ লোক মারা যেত বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার বেহালায় নির্বাচনী সভায় মমতা বলেন, আমরা ৪৬ লক্ষ লোককে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছি। সারা রাত আমি সবকিছুর তদারকি করেছি। কেউ কিছু জানতেই পারেনি। আর আজ কাকদ্বীপের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করলেন, দিল্লি থেকে তিনি সব মনিটর করেছেন।
সবাই নাকি একযোগে কাজ করেছে। ডাহা মিথ্যেবাদী। তিনি নাকি দিল্লি থেকে সাইক্লোন সামালেছেন। প্রধানমন্ত্রীর মিথ্যে বলা সাংবিধানিক অধিকার নয়। এনডিআরএফ দেখাচ্ছেন। এনডিআরএফের জন্য রাজ্য সরকারকে টাকা দিতে হয় কেন্দ্রকে। আমরা টাকা দেব। আর উনি বড় বড় কথা বলবেন। উনি নাকি মা কালীকে ডেকে সাইক্লোন সামাল দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, গতকাল পর্যন্ত রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, রেমালে সব চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সুন্দরবনের। দুই লক্ষ মানুষকে অন্যত্র সরানো হয়েছে। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন, ৪৬ লক্ষ মানুষকে সরানোর হিসেব মুখ্যমন্ত্রী কোথা থেকে পেলেন।
এদিন প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi) প্রথম সভা করেন অশোকনগরে বারাসত কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে। সেখানেই মোদি দাবি করেন, রেমাল কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার একসঙ্গে সামাল দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করেছে। তিনি মনিটর করেছেন।
আরও পড়ুন: ৪ জুন বাংলায় নতুন ইতিহাস রচনা হবে, বারুইপুরের সভায় দাবি মোদির
মমতা বিরাটি থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত রোড শো করেন দমদম কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়ের সমর্থনে। তারপর তিনি পদযাত্রা করেন উত্তর এবং দক্ষিণ কলকাতার দুই প্রার্থীর সমর্থনে। সেই রোড শো হয় এন্টালি থেকে বালিগঞ্জ ফাঁড়ি পর্যন্ত। সেই শো সেরে মুখ্যমন্ত্রী যান বেহালায় পদযাত্রা করতে। পরে বেহালায় সভা করেন। সেই সভাতেই তিনি প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। মমতা বলেন, আর প্রধানমন্ত্রী বেশিদিন থাকবেন না আপনি। আর মাত্র সাত-আটদিন নিজেকে প্রধানমন্ত্রী বলতে পারবেন। তারপর তো আর প্রধানমন্ত্রী থাকবেন না। গুজরাতে আপনি দাঙ্গা করে পরে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। আপনার আগে আমি কেন্দ্রের মন্ত্রী হয়েছি।
আরও খবর দেখুন