বীরভূম: তৃণমূলের মন্ত্রী ও জেলা পরিষদের সভাধিপতির দ্বন্দ্বে বন্ধ সরকারি প্রকল্পের রাস্তার কাজ। অবিলম্বে রাস্তার কাজ শুরু হোক দাবি জানিয়ে তৃণমূল সমর্থক গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের ইলামবাজার ব্লকের চুনপলাশী গ্রামে।
লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার আগে বীরভূমের বোলপুর বিধানসভার অন্তর্গত ইলামবাজার ব্লকের চুনপলাশী গ্রামে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে যান বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। সেই অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে সামনে পেয়ে গ্রামবাসীরা দাবি জানান, একটি কাঁচা রাস্তাকে পাকা তৈরি করে দেওয়ার। কাজল অবশ্য কথা দেন, কিছুদিনের মধ্যেই সেই কাজ সরকারিভাবে পাস হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই রাস্তায় কাজ করার জন্য সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছিল। কাজ চলাকালীন আচমকাই বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের ইলামবাজার ব্লকের নেতাদের বিরুদ্ধে। এরই প্রতিবাদে অবিলম্বে রাস্তার কাজ শুরু করা হোক গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখায় চুনপলাশী গ্রামে।
আরও পড়ুন: চাকরির জন্য ৯ লাখ! ভাইরাল দেবের কল রেকর্ড, বিস্ফোরক হিরণ
বীরভূম জেলা পরিষদ দফতর সূত্রে খবর, চুনপলাশী গ্রামে প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা কাঁচা। বর্ষা এলেই কাদা হয় এক হাঁটু পর্যন্ত। গ্রামে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য খাটিয়া করে রোগীকে চাপিয়ে পাকা রাস্তায় নিয়ে গিয়ে গাড়িতে করে হাসপাতাল নিয়ে যেতে হয়। চরম দুর্ভোগ অবস্থায় কাটাচ্ছেন গ্রামবাসীরা।
বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূলের সরকারি কাজ মানেই তো পারসেন্টেজ। অর্থাৎ কাটমানি। ইলামবাজার ব্লক সভাপতি তোলার টাকা পাচ্ছে না। তাই কাজটি বন্ধ করে দিয়েছে। দুর্নীতিতে ভরা এই সরকার। মানুষ এদের জবাব দেবে।
ইলামবাজার ব্লকের তৃণমূল সভাপতি ফজলুর রহমান জানান, কাজটা বন্ধ রাখা হয়েছে, তার কারণ, রাস্তাটা যেদিকে হওয়ার কথা তার উল্টোদিকে রাস্তা করতে চাইছে গ্রামবাসীরা। সরকারি নিয়ম বহির্ভূতভাবে আমরা তো কাজ করতে পারি না। যে সমস্ত গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁদের ইন্ধন দিয়েছে বিরোধীরা।
বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ জানান, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে শুনলাম। আমি একটা অনুষ্ঠানে গেছিলাম বেশ কয়েক মাস আগে চুনপলাশী গ্রামে। গ্রামবাসীদের আবেদনে আমি রাস্তাটি কাজের নির্দেশ দিই। কে বা কারা রাস্তার কাজ বন্ধ করল, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: