মিথ্যের ঝুড়ি মাথায় নিয়েই ঘোরেন আমাদের চৌকিদার, অজস্র মিথ্যে কথা বলতে বলতে আমাদের প্রধানমন্ত্রী কখন সত্যি বলছেন তাই আমরা বুঝে উঠতে পারি না। সেই কবে সিপিএম নেতা নেপালদেব ভট্টাচার্যের বক্তৃতাতে একটা গল্প শুনেছিলাম, একটু অদল বদল করে বলি। মর্ত্যে মানে এই পোড়ার পৃথিবীতে মানুষের মিথ্যে বলার তো হাজার একটা কারণ আছে, অকারণেও মানুষ মিথ্যে বলে, মিথ্যেরও নানান ভেদ আছে রকম সকম আছে, ছোট্ট কচি মিথ্যে, নিরপরাধ মিথ্যে, অসহায় মিথ্যে, মিথ্যে তো যুধিষ্ঠিরও বলেছিলেন, কোন মানুষ বলেন না? বলেননি? আমরা সবাই বহুবার কারণে এমনকী অকারণেও মিথ্যে বলেছি। তো চিত্রগুপ্ত স্যর মিথ্যের হিসেব রাখার জন্যই বেশ কিছু ঘন্টা লাগালেন, সেসব অ্যালার্ম বেল বাজলেই উনি লিখতেন, ওই যে অমুক চন্দ্র তমুক মিথ্যে বলছে, খাতায় লেখা হত, কারণ সেসব হিসেবের নাকি পরে হিসেব নিকেশ হবে। তো নারদ একদিন যাওয়া আসার মাঝে একটু জিরানোর জন্য যমলোকে গিয়ে বসেছেন, চিত্রগুপ্ত তখন ভারি ব্যস্ত, কারণ ভারতে সেই সময়ে সাধারণ নির্বাচন চলছে, এদিকে টুং ওদিকে টাং বেজেই চলেছে কেরালা থেকে কাশ্মীর নেতারা মিথ্যে বলছেন, হিসেবে লেখাও হচ্ছে, হঠাৎ একটা ঘন্টা একটানা বাজতে শুরু করল, চিত্রগুপ্তের পেছনে রাখা সে ঘন্টা বেজেই চলেছে, নারদ শুধলো, হচ্ছেটা কী? চিত্রগুপ্ত ওদিকে না তাকিয়েই বললেন নরেন্দ্র মোদির ভাষণ শুরু হয়েছে, বাকিরা মাঝেমধ্যে মিথ্যে বলেন, অনেকে অনেকটাই মিথ্যে বলেন, উনি মিথ্যে ছাড়া কিছুই বলেন না কাজেই ঘন্টা এখন বেজেই চলবে, কিচ্ছু করার নেই। হ্যাঁ যমলোকেও মোদিজির এই সুখ্যাতি পৌঁছে গেছে।
তো যাই হোক আলোচনাতে ফেরা যাক, আসলে মোদিজি দুটো কারণে মিথ্যে বলেন, প্রথম কারণ হল উনি একজন প্যাথোলজিক্যাল লায়ার, সত্যি ছাড়া মিথ্যে বলতেই পারেন না, কারণ নেই কোনও, তবুও মিথ্যে বলেন, সব কিছু নিয়েই মিথ্যে বলেন। আর দু’ নম্বর হল আরএসএস–বিজেপি গোয়েবলসের বিগ লাই তত্ত্বে বিশ্বাস করে। আমরা আগে বলতাম, মিথ্যে প্রচার, গুজব ছড়ানো ইত্যাদি বিষয়গুলো আরএসএস–বিজেপি শিখেছে গোয়েবলসের কাছে, যাঁর তত্ত্ব ছিল, একটা মিথ্যাকে বার বার বলো, এতবার বলো যে মানুষ, অধিকাংশ মানুষ তা বিশ্বাস করে নেয়, তার সঙ্গেই গোয়েবলস বলেছিল, ছোট মিথ্যে নয়, এত বড় মিথ্যে বল, বিগ লাই, যে মানুষ সত্যি মিথ্যের তল খুঁজে পাবে না, মানে ধরুন এন্টায়ার পলিটিকাল সায়েন্সে এমএ, সাবজেক্ট মানে ওই এন্টায়ার পলিটিকাল সায়েন্সটা যে কী, সেটা বুঝতেই বছর কেটে যাবে, এটাই গোয়েবলসের বিগ লাই-এর তত্ত্ব। আগে বলতাম, কিন্তু এখন বুঝতে পারছি, ভুল বলেছিলাম, ডাহা ভুল। আরএসএস–বিজেপি আরও উন্নত মিথ্যে প্রচার যন্ত্র বানিয়ে ফেলেছে, আরও নতুন নতুন কায়দা, বিষ ঢালছে সমাজে অবিরাম, কিন্তু সে বিষ এক ঝটকায় বোঝা যাবে না, সে বিষ ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়বে সমাজে, আপনি টের পাওয়ার আগেই আপনার পরিবারে, বন্ধুমহলে, পড়শিদের মধ্যে, অঞ্চলে, জেলায়, রাজ্যে দেশে বিষবৃক্ষে ফুল ধরবে। হঠাৎ আপনার বন্ধুকে অপরিচিত মনে হবে, হঠাৎ আপনার পড়শির মুখে এমন কথা শুনবেন, যা কল্পনারও বাইরে। বিজেপি সেই কাজটা করছে, প্রকাশ্যেই করছে। জুমলাবাজ শব্দটা মোদিজির প্রতিশব্দ বললেও ভুল হয় না, এ শব্দের বাংলা হল ঢপ, তো এ নিয়ে বাঙালির গর্বের অন্ত ছিল না। কারণ এ তাবত ঢপবাজির শ্রেষ্ঠত্ব তো আমাদেরই ছিল, একজন নয় দু’ দুজন এই শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার ছিল, টেনিদা, ঘনাদা। ওনারা অবশ্য সেকেলে, তাই ঢপবাজ না বলে গুলবাজ শিরোপা পেয়েছিলেন।
কিন্তু একটা জিনিস খেয়াল করুন, এই দুজনের একজনও নিজের মুখে, বা তাদের কোনও পার্শ্বচরিত্রের মুখে, ওই ঢপ দেওয়া বা গুল দেওয়ার কথা স্বীকার করেননি। মানে বলতে চাইছি, টেনিদা, ঘনাদা তো বাদই দিলাম, তাঁদের শাকরেদরাও কেউ বলে উঠতে পারেননি যে ওনারা গুল দিচ্ছেন। এবার চলুন ২০১৪, আমাদের দেশের নির্বাচনী প্রচারে, নরেন্দ্র ভাই দামোদরদাস মোদি, সভায় সভায় বলছিলেন হর এক কে খাতে মে ১৫, ১৫ লাখ আ যায়েঙ্গে। ভোট শেষ, উনিও চুপ, ওনাকে তো আম চেটে খান না চুষে খান ছাড়া প্রশ্নও করা যায় না। তো খোলসা করলেন ওনার সাকরেদ, অমিত শাহ, বললেন ওহ তো জুমলা থা, ওটা তো ঢপ ছিল। মানে উনি বলেছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী সেদিন ঢপ দিয়েছিল, এ রেকর্ড ঘনাদা বা টেনিদারও নেই। প্রথমে সারা দেশের মানুষকে ঢপ দেওয়া, তারপর সেটা শাকরেদকে দিয়ে বলিয়েও দেওয়া যে, ওহ তো জুমলা থা, ওটা তো ঢপ ছিল, হে হে, হে হে। এবং সেটাই কি শেষ? তারপরে পুকুর থেকে কুমির ধরা, জিমেল আসার আগেই ফটো অ্যাটাচমেন্ট করে পাঠানো, মেঘের তলা দিয়ে রাডারকে ফাঁকি দেওয়া, এ প্লাস বি হোল স্কোয়ারের ফাঁক থেকে একটা এক্সট্রা টুএবি বার করে আনা, এন্টায়ার পলিটিকাল সায়েন্স নিয়ে পাশ করা, কত শত ঢপবাজি, আমরা তো সেসব শুনেছি। তাই গুলবাজ, ঢপবাজ, জুমলাবাজ প্রত্যেককে এখন থেকে মোদিজি বলে ডাকলে কোনও ক্ষতি হবে না বরং শব্দটার ওজন বেড়ে যাবে। ও ঢপবাজ না বলে এখন থেকে বলতেই পারেন ও মোদিজি। আসুন গোটা পাঁচ ছয় বিশাল ঢপবাজি তুলে ধরা যাক, যেগুলো আপনারা জানেন কিন্তু আবার মনে করিয়ে দিচ্ছি, ক’মাস পর থেকেই তো তিনি এ রাজ্যে মিত্রোঁ বলে লোকাল প্যাসেঞ্জারি করতে আসবেন, তখন এই কথাগুলো রাস্তার মোড়ে মোড়ে আপনারাই বলবেন।
আরও পড়ুন: Fourth Pillar | অযোধ্যা মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডে কতজন মুসলমান আছেন?
২০১৬-তে তিনি বলেছিলেন কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করে দেওয়া হবে, উনি হিসেবটা ধরেছিলেন ২০১৫–১৬র যখন কৃষকদের আয়ের জাতীয় গড় হল ৯৬৭০৩ টাকা, তো কবে এটা দ্বিগুণ হবে? উনিই বলেছিলেন ২০২২-এর মধ্যে দ্বিগুণ হয়ে ১৯২৬৯৪ টাকা তো হবেই। বিরাট ব্যাপার, যদিও আমাদের আম্বানি আদানিদের সম্পদ এবং আয় ৮০ শতাংশ হারে প্রতি বছরে বাড়ে, কিন্তু সে কথা থাক, যদি কৃষকদের আয় ৬ বছরে দ্বিগুণ হয়, তাহলে সেটাও তো কম নয়। কী হয়েছে? ২০২৪-এ একজন কৃষকের আয়ের জাতীয় গড় হল ১২৮৩৪০ টাকা, এবং মাথায় রাখুন এর মধ্যে এক বিরাট মূল্যবৃদ্ধি কিন্তু পাল্লা দিয়েই বেড়েছে। মানে ২০২২ তো ছেড়েই দিলাম, ২০২৪-এ শেষ হিসেব পাওয়া পর্যন্তও কৃষকের আয় আজকের টাকার মানেও ১৯২৬৯৪ টাকার বদলে ১২৮৩৪০ মানে কমবেশি ৬৫ হাজার টাকা কম। ওনার জমানাতে সাংসদদের বেতন কত বেড়েছে? ক্ষমতায় এসেই ২০১৫-তে সাংসদদের মাইনে দ্বিগুণ করার কাজটা করেছেন নরেন্দ্রভাই দামোদরদাস মোদি। আবার এই সেদিনেই বেড়েছে, মাত্র ১০ বছরে ১৪৮ শতাংশ মাইনে বেড়েছে সাংসদদের। অন্যদিকে সারের দাম বেড়েছে, বিদ্যুতের দাম বেড়েছে, পেট্রল ডিজেলের দাম বেড়েছে, কিন্তু কৃষকের আয় বাড়েনি। জুমলাবাজ মোদিজি কৃষকের আয় দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে আর একটাও কথা বলেন না। আসুন পরের মিথ্যেটাতে যাই, উনি সেই ২০১৭ সালে বলেছিলেন, ভারতে বুলেট ট্রেন ছুটবে, প্রথমে বলেছিলেন ২০২২-এর মধ্যেই দৌড়বে, পরে বলেছিলেন না ২০২৩ এর মধ্যে বুলেট ট্রেন চলবে মুম্বই থেকে আমেদাবাদ পর্যন্ত, মানে সেই গুজরাটে, হোক না, ভারত তো। কিন্তু কী হয়েছে? এখন বলা হচ্ছে ২০২৬ সুরাট থেকে বিলিমোরা, এই ৫০ কিলোমিটার পথ নাকি চালু হয়ে যাবে।
আবার একটা মস্ত ঢপ। কেন? কারণ বুলেট ট্রেনের গতি হবে ওনার কথাতেই ৩৫০-৩৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা, ৫০ কিলোমিটার যেতে কত সময় লাগবে? ৭ মিনিট। ৭ মিনিটের বুলেট ট্রেন চলবে? মামদোবাজি নাকি? এখনও সমস্ত রেলপথটাই তৈরি হয়নি। আর সেটা লোকাতেই ছুঁচোলো মুখওলা কিছু ইঞ্জিনকে ট্রেনের সামনে লাগিয়ে দেশজুড়ে চালু করে, সাধারণ টিকিটের ২-৩ গুণ দাম বাড়িয়ে বন্দে ভারত বলে চালু করেছেন। সেই দ্রোণাচার্যের গল্প, অশ্বত্থামা দুধ খেতে চেয়েছিলেন, দ্রোণাচার্য দুধ না জোগাড় করতে পেরে পিটুলি গোলা খাইয়েছিলেন, ইনি নির্ভেজাল ঢপ দিয়েছিলেন, এখন তা লোকাতে কেবল লোক ঠকানোর জন্য বন্দে ভারত চালু করেছেন তাই নয়, দ্বিগুণ তিনগুণ ভাড়া বাড়িয়ে পকেট কাটছেন। এবং রেলমন্ত্রী নয় নিজেই সেই সব উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঝান্ডা নিয়ে হাজির হচ্ছেন, জুমলাবাজ মোদি ভুলেই গেছেন বুলেট ট্রেনের কথা। ২০২২-এর মধ্যে প্রত্যেকের ঘর হবে। এটাও মোদিজির আর একটা ডাহা মিথ্যে। ২০১৫-তে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা চালু করার সময়েই কেবল নয়, ১৫-১৬-১৭ জুড়ে প্রত্যেকটা নির্বাচনে কি বাওয়াল, সবকা ঘর হোগা, ঘর মে নল হোগা, নল মে জল হোগা, ঘরমে উজ্বালা হোগা, কেবল ঘরের মধ্যে ডাইনিং টেবিলে দাদা বৌদির বিরিয়ানি হোগা এই কথাটাই যা বলেননি, এবারে ২০২৬-এ বাংলাতে এসে সম্ভবত সেই কথাটাই বলবেন। ২০২২ ছেড়ে দিন, ২০২৩-এর জানুয়ারির হিসেব ২.১ কোটি ঘর হয়েছে যা নাকি লক্ষ্যমাত্রার ৭২ শতাংশ, তাই প্রকল্পকে ২০২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল, তারপরেও সেই লক্ষ্যমাত্রা অধরা, ৩ কোটি মানুষের ঘর তো হয়নি, ইতিমধ্যে দারিদ্র অনেকের ঘর কেড়েছে, নতুন করে গৃহহীন হয়েছেন মানুষ বিভিন্ন কারণে।
আসুন পরের জুমলায় সব্বাই জানেন সেই জুমলা, কালা ধন ওয়াপস লায়েগা, সবকা খাতে মে ইউহি ১৫ ১৫ লাখ চলা যায়েগা। তো তিনি তো এ নিয়ে কথা বলেনই না, ওনার পার্টনার ইন ক্রাইম অমিত শাহ বুঝিয়ে বলে দিয়েছেন যে ওসব জুমলা ছিল, নির্বাচনের আগে ওসব বলতে হয়। কিন্তু সেই কালা ধনের অবস্থাটা আজ কীরকম? ২০১৬তে ১৭ লক্ষ কোটি কালো টাকার এক সমান্তরাল অর্থনীতি গড়ে উঠেছিল, ফেরত আসেনি, বন্ধ হয়ে যায়, এ ক’ বছরে কমেছে কতটা? হরির নাম খাবলা খাবলা, কমেনি কালো টাকা বেড়েছে, আপাতত আইএমএফ বলছে জিডিপির ৫০ শতাংশ, মানে ২১.৮২ লক্ষ কোটি কালো টাকা আছে, সিবিআই বলছে না সেটা ২৮ লক্ষ কোটি টাকা আর অন্য আর একটা ইন্ডিপেনডেন্ট রিপোর্টের শেষ হিসেবে নভেম্বর ২০২৪-এ বলা হয়েছে যে এটা ৩০ কোটি টাকার কম নয়। মোদিজি এখন কালো টাকা নিয়ে মুখ খোলেন না। মোদিজি জুমলাবাজ। মনে আছে সেই মিত্রোঁ বলে হাজির হয়ে নোটবন্দির কথা বলেছিলেন, বলেছিলেন এর ফলে নাকি করাপশন কমে যাবে, দূর্নীতি কমবে। কমা তো দূরস্থান, ওনার ২৯ জন গুজরাটি বন্ধু এর মধ্যে কোটি কোটি টাকা নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে, দেশের মধ্যে দু’ নম্বর বড়লোক আদানির দুর্নীতির কথা ঢাকতে তেনাকে ট্রাম্প সাহেবের দরবারে হত্যে দিয়ে পড়ে থাকতে হচ্ছে। সেদিন যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানের কথা বলেছিলেন তা ছিল নির্ভেজাল মিথ্যে, না খাউঙ্গা না খানে দুঙ্গা ছিল বিশুদ্ধ বাওয়াল। কী ভাবছেন একটা এপিসোডে মোদিজির এই অষ্ট শত মিথ্যে বচনের কথা বলা যাবে? অসম্ভব। গোটা পাঁচেক এপিসোড তো লাগবেই। আছে তো ২ কোটি বেকারের চাকরি থেকে ওনার নিজের ডিগ্রির সেই গুলগল্প, সেসব আর একদিনের জন্য রাখা থাকল। আসলে এক মধ্যযুগীয় ধ্যানধারণা নিয়ে, এক পিছিয়ে পড়া মানসিকতা নিয়ে এক অশিক্ষিত এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষ আর দল মিথ্যে দিয়েই মানুষকে ভুলিয়ে রাখতে চায়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল মিথ্যে বলে না? বলে বইকী। কিন্তু তার রেশিও যদি ৫০:৫০-ও হয়, তাহলে এনাদের মিথ্যের পরিমাণ ১০০তে ৯৯। মোদিজি কাজে, অকাজে, কারণে অকারণে মিথ্যে বলেন আর মাকড়সার মতো মিথ্যের জালের মধ্যেই চুপ করে বসে থাকেন।