Friday, June 13, 2025
HomeScrollFourth Pillar | পাক বাহিনীর গণহত্যা, গণধর্ষণের ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা করছেন...
Fourth Pillar

Fourth Pillar | পাক বাহিনীর গণহত্যা, গণধর্ষণের ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা করছেন মহম্মদ ইউনুস

বাংলাদেশে ইতিহাসের চাকা উল্টোদিকে ঘোরা শুরু হয়েছে

Follow Us :

সেই স্বাধীনতার পরে এই প্রথম পাকিস্তানের জাহাজ পৌঁছল চট্টগ্রামে। পাকিস্তান যেতে বাংলাদেশের মানুষজনের ভিসা লাগবে না। ইউনুস সাহেব আর এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, উপদেষ্টা মণ্ডলীর মানুষেরা নিশ্চিত ভুলেই গেছেন সেই মার্চ মাসের অপারেশন সার্চলাইটের কথা। ভুলেই গেছেন ৩০ লক্ষ মানুষের গণহত্যার কথা, ভুলে গেছেন ৩ লক্ষ অসহায় মা বোনেদের ধর্ষণের ঘটনা। ভুলেছেন কারণ তাঁদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেই টিকে থাকতে হবে, মুক্তিযুদ্ধ চেতনার বিরোধিতার শর্তেই তাঁদের এই গদিতে বসতে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা সাফ জানিয়েই দিয়েছেন, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের সংবিধানে আর ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দের প্রয়োজন নেই। গত বৃহস্পতিবার মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশ হাইকোর্টে পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধনী বাতিলের জন্য সওয়াল করে এ বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশিস রায়চৌধুরীর বেঞ্চে সওয়াল করতে গিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘‘পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের বুকে কুঠারাঘাত করা হয়েছে।’’ তবে প্রাথমিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়ে তিনি এ ক্ষেত্রে তুলে ধরেছেন ‘মৌলিক অধিকারের’ প্রশ্ন। কারণ, শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্বের সময় ওই সংশোধনীর মাধ্যমেই ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিয়ন্ত্রণে জাতীয় সংসদের নির্বাচন আয়োজন’ করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা বাতিল করা হয়েছিল। সেই গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পালাবদলের ১০০ দিন ছিল। গণভবনে ঝাঁকে ঝাঁকে বিপ্লবী, কারও বগলে হাঁস, কারও মুরগি, কেউ শেখ হাসিনার শাড়ি, কেউ চেয়ার, কেউ ফ্যান নিয়ে রাজপথে, কী উল্লাস কী উল্লাস। হ্যাঁ ইতিহাসের চাকা পিছনের দিকে ঘোরে বইকি, এক আধদিনের জন্য নয়, অন্ধকারে একবার প্রবেশ করে আলোর খোঁজ পেতে বহু সময় কেটে যায়, কখনও বা অন্ধকারেই দফন হয়ে যায় স্বপ্ন। দফন হওয়া স্বপ্নের কাফন লাগে না। আধুনিক ইতিহাসে এমন উদাহরণ আছে, উদাহরণ ভূরি ভূরি। ধরুন আফগানিস্তান। ৫০-৬০-এর দশকে দেশের কর্মরত মানুষের মধ্যে মহিলাদের সংখ্যা ৫০ শতাংশ, তাদের পোশাক বিধি স্কার্ট টপ, গাউন, প্যান্ট শার্ট, তাঁরা গাড়ি চালাতেন, বাইসাইকেল চালাতেন, এসব ছবি গুগল করলে এখনও পাওয়া যাবে। চাকা উল্টোদিকে ঘুরেছে, পুরুষদের দাড়ি জোব্বা, নারীরা বোরখায় ঢাকা, মেয়েদের স্কুল-কলেজ বন্ধ, আজ নয় বহুকাল। বাংলাদেশে ইতিহাসের চাকা উল্টোদিকে ঘোরা শুরু হয়েছে। এখান থেকে ফেরা যায়? হ্যাঁ যায়, কিন্তু তার লক্ষণ আমি অন্তত দেখতে পাচ্ছি না।

সেদিনের ওই ঝোড়ো ছাত্র আন্দোলনের দিনগুলোতে আমরা কী বলেছিলাম, একটু মনে করিয়ে দিই। আমরা বলেছিলাম, হাসিনা মিলিটারি হেলিকপ্টারে চেপে ভারতে চলে এলেন, গণভবনে লুঠপাট চলছে, বঙ্গবন্ধুর মূর্তি ভাঙা চলছে, মিলিটারি প্রধান ক্ষমতা নিলেন হাতে, বললেন বিক্ষোভ থামান, নতুন দেশ গড়ব ইত্যাদি। তখনও পর্যন্ত লাশের সংখ্যা ৪০০, কেউ কেউ বলছেন আরও অনেক অনেক বেশি। ৪০০ই কি কম? এক মানব শরীরে কমসম করে ৫ লিটারের বেশি রক্ত থাকে, ৪০০ জন মানুষের লাশের অত রক্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে, বিশ্ববিদ্যালয়ে, রাজপথে ছড়িয়ে আছে। ৪০০ জন মানুষ, মুসলমান, হিন্দু, ছাত্র, রিকশাওয়ালা, পথচলতি মানুষ, শিশু, পুলিশ, নেতা কবরে শুয়ে আছে। প্রতিবাদ, প্রতিরোধ, আন্দোলনের লাশ, কিছু লাশ পুড়ছে, কিছু লাশ মর্গে, তাদের শনাক্তকরণই হল না। এর পরেও আরও লাশ পড়বে। কিন্তু কেন? আন্দোলন শুরু হল কোন দাবিতে, আপাতত দাবি কী? আন্দোলন যাঁরা করছেন তাঁরা কারা? সরকার কী চাইছে? সব নিয়ে বাংলাদেশে আলোচনা যা হওয়ার হচ্ছে এ বাংলাতে কিন্তু সেসব আলোচনার বেশিরভাগটাই শোনা কথা আর কিছু প্রচার। যা নিয়ে শুরু হয়েছিল তা থেকে এখন সরে গেছিল গোলপোস্ট, কোটার দাবি হয়ে উঠেছিল সরকার বদলের দাবি, যা ছিল আদত লক্ষ্য, আসল লক্ষ্য, এখন তা আমাদের সামনে। মুক্তিযুদ্ধ ছিল বাংলাভাষার, মাতৃভূমির, জন্ম নিয়েছিল বাংলাদেশ, জিতেছিল বাঙালি, জিতেছিল ধর্মনিরপেক্ষতা, জিতেছিল মানবতা। হেরেছিল কারা? পাকিস্তান? সে তো ৭১-এই সেটলড, বাংলাদেশ তো আর নতুন করে পাকিস্তান হবে না। আসলে সেদিন হেরেছিল সেই ঘাতক দালাল রাজাকারেরা যারা বাংলা ভাষা মাতৃভাষার দাবিকে উপেক্ষা করেছিল, হেরেছিল তারা যারা এক মৌলবাদকে সামনে রেখে ধর্মনিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে সরব ছিল, হেরেছিল তারা যারা দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। তারা সেদিন হেরেছিল, কিন্তু শেষ হয়ে গিয়েছিল কি? একেবারেই নয়, তারা শেষ হলে জাতির পিতাকে হত্যা করল কারা? গণতন্ত্রকে সামরিক ছাওনিতে নিয়ে গেল কারা? তারা শেষ হয়নি, বরং তারা বার বার তাদের সমস্ত শক্তি নিয়ে ফিরে ফিরে আসে, দখল নিতে চায় এই অর্জিত স্বাধীনতার। বাংলাদেশের যে কোনও আন্দোলনে, সামাজিক রাজনৈতিক যে কোনও কর্মকাণ্ডে এই দুই ধারা আছে, হেরেছে, শেষ হয়ে যায়নি। ঠিক আমাদের দেশের আরএসএস, হিন্দু মহাসভা, জনসঙ্ঘ, বিজেপির মতোই এক এমন বিপজ্জনক দর্শন নিয়ে তারাও কাজ করেই চলেছে। কাজেই আপনার একচোখ যদি ভাতের লড়াইয়ের দিকে হয়, তাহলে আর এক চোখকে রাখতেই হবে এই জামাত শিবির রাজাকার হেফাজতের দিকে, আমাদের দেশে আমাদেরও রাখাই উচিত ওই আরএসএস আর তার শাখা সংগঠনের দিকে। হাসিনাকে গণ আন্দোলনের ফলে সরে যেতে হল সেটাও বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়, কিন্তু কারা লাভবান হলেন এই আন্দোলনের ফলে? এই স্লোগানে? কারা কোটার আন্দোলনকে এই পর্যায়ে নিয়ে গেলেন? কাদের মাথা থেকে বের হল এই স্লোগান? ভাবতে হবে, ভাবতে হবে।

আরও পড়ুন: Fourth Pillar | মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন– কলকাতা টিভির প্রথম সমীক্ষা

বাংলাদেশের গত কয়েক বছরের রাজনৈতিক পরিসরে গণতন্ত্রের উপর আঘাত এসেছে বার বার, গণতন্ত্রের প্রাথমিক শর্তগুলো লঙ্ঘন করেছে সরকার এ নিয়ে দ্বিমত নেই, আওয়ামি লিগের নতুন করে ভাবা উচিত ছিল ছাত্র লিগের গুন্ডারাই কি দেশ চালাবে? এটাও ভাবতে হবে। আন্দোলন শুরু হল মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংশোধনের দাবিতে, কখন? যখন সেই সিদ্ধান্ত বিচারের জন্য অপেক্ষায়, বিচারপতিরা রায় দেবেন এক মাসের মধ্যে, তবুও আন্দোলন? মেনে নিলাম, এবারে এক স্তরে এসে বিচারের রায়ও চলে এল, তুলে নেওয়া হল সেই কোটা, কিন্তু এবারে আন্দোলন, কেন গুলি চলল? এবং গুলি চলার পিছনের কারণ জানার আগেই হাসিনার পদত্যাগ, সরকারের পদত্যাগই হয়ে উঠল প্রথম আর প্রধান দাবি। কারা আসবেন তার বদলে? প্রতিবাদী ছাত্রদের কোনও দল আছে? নেই। তাহলে, তাহলে তারাই আসবে, ঘুরপথে তারাই ক্ষমতায় বসবে যারা এই আন্দোলন হাইজ্যাক করেছে বহু আগেই। আপাতত মিলিটারি, তাদের হাত ধরে পিছনের লোকেরা খুব শিগগির সামনে আসবে। এবং এই পরিকল্পনা, এখন তো জানাই যাচ্ছে আজকের নয়, বহু বহু পুরনো, ২০২৩-এর পিঙ্ক রেভেলিউশনের কথা বলা হয়েছিল। আজ সেই ছক মেনেই আন্দোলন? হাসিনার ভুল? অসংখ্য ভুল আছে, এভাবে শক্তি দেখিয়ে আন্দোলন থামানোর দরকার ছিল কি? নিজের ফাঁদে নিজেই জড়িয়েছেন। কিন্তু তার বদলে যারা দরজায় কড়া নাড়ছে, দেশের সংখ্যালঘু মানুষদের উপরে এরই মধ্যে নামিয়ে এনেছে অত্যাচার, এরই মধ্যে আরও তীব্র হয়েছে ভারত বিরোধী জিগির। আসলে ইন্দিরা গান্ধীর ভুলের হাত ধরেই আমাদের দেশে উঠে এসেছিল বিজেপি, বাম সমাজতান্ত্রিকদের ভুলেই আরও বড় ক্ষমতা নিয়ে সরকার তৈরি করেছে বিজেপি। অত দূরে কেন? ২০১৩–২০১৪তেই দেখুন না, বাম দলগুলো, সমাজবাদী দল, আরজেডি প্রত্যেকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে, তীব্র সমালোচনা করছেন, আন্দোলন গড়ে তুলছেন। কে ক্ষমতায় এল? বিজেপি। আজ বাম, সমাজবাদী দল, আরজেডি, কংগ্রেস প্রত্যেকে হাত মিলিয়ে সেই বিজেপিকেই হারানোর চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ সেই বাঁকের মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিল, হয় আওয়ামি লিগ জিতবে, হাসিনা থাকবেন, না হলে জামাত-বিএনপি জোট ক্ষমতায় আসবে, হাসিনা হারলেন, মুক্তিযুদ্ধ হারল, এই জয়ে যা এল তা নিখাদ মিলিটারি শাসন। এই ছাত্ররা, এই বামেরা, এই ধর্ম নিরপেক্ষ মানুষেররা যখন এই সারসত্য বুঝতে পারবেন, ততদিনে অনেক দেরি হয়ে যাবে, অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। কিন্তু এখনও এক সুতোও যদি সুযোগ থাকে, যদি সামান্য সুযোগে ঘুরে দাঁড়ায় মানুষ, তাহলে বলব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াও।

সেদিন যা যা বলেছিলাম তার সঙ্গে বাস্তব অবস্থাটা একবার মিলিয়ে নিন। এটা যদি একটা বিপ্লব হয়ে থাকত, ছাত্রদের নেতৃত্বে সাধারণ মানুষের এক বিপ্লব, তাহলে ছাত্ররা সরকার তৈরি করতেন, যাঁরা লড়েছেন, সামনে ছিলেন, মহম্মদ ইউনুস না হয় পিছন থেকে রসদ আর পরিকল্পনা জুগিয়েছেন, তিনি থাকতেন, রাষ্ট্রপতি হতেন, একটা পূর্ণ সরকার হত, তারা সব দায় নিয়ে সরকার চালাত। কিন্তু কাজে হলটা কী? প্রথমত একটা পাকাপোক্ত সরকারই হল না, উপদেষ্টামণ্ডলী, আসিফ নজরুলের মতো রাষ্ট্রবিজ্ঞান জানা মানুষ থাকার পরেও উপদেষ্টা মণ্ডলী? এর আইনি ভিত্তিটা কী? আর রোজ সেই উপদেষ্টামণ্ডলীতে এক একজন করে যোগ দিয়ে যাচ্ছে, কোনও সমন্বয় নেই, কারও সঙ্গে কারও কথাবার্তা হয় বলেও মনে হচ্ছে না, যে যা পারছে করে যাচ্ছে। এক নৈরাজ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল, আর এক নৈরাজ্যের দিকে তা নিয়ে চলেছে আমাদের প্রিয় দেশকে। প্রথমে হাসিনা তাড়াও, বোঝা গেল। তার আমলে স্বৈরতান্ত্রিক কাজকর্মের স্বাভাবিক প্রভাব। কিন্তু তারপরে মুজিব ভাঙো, মুজিবকে মুছে দাও। প্রতিটা দেশের একজন নায়ক থাকে, তার ছবি সামনে থাকে, এমন নয় যে তাঁকে কোনও সমালোচনাই সহ্য করতে হয় না, হয় কিন্তু একজন থাকেন। মুজিব ভাঙো, বেশ তো বদলে কে? নাহিদ? আসিফ নজরুল? ওই মহম্মদ ইউনুস? মুজিব ভাঙো পর্ব শেষ হওয়ার পরেই শুরু হয়ে গেল সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ, এখানে মন্দির তো ওখানে মঠ ভাঙছে। ওদিকে জো বাইডেন নাকি সঙ্গে আছেন, দাদায় কইছে পুঙ্গির ভাই আনন্দের আর সীমা নাই।

এবারে সেই দাদা যেই গেছে ভিতরে বাইরে সামাল সামাল রব উঠেছে। হাসিনাও অপেক্ষা করছেন, তাঁর পক্ষে বিশ্ব জনমত জুটিয়ে আবার প্রত্যাবর্তনের, ট্রাম্প আসায় সেই কাজ খানিক সহজ হয়েছে। ওদিকে বিএনপি সোজা চীনের দরবারে। উইঘুর মুসলমানদের কতলে আম করা চীন তাদের সখা হয়ে উঠতেই পারে, স্ট্রাটেজিক্যালি তারা তো আমেরিকার সঙ্গে বিরোধে বাংলাদেশের জল এলাকাকে ব্যবহার করতে চায়। ভারতও বা কম কিসের, আদানিকে দিয়ে বকেয়া আদায়ের কাজে নামিয়ে দিয়েছে, বিদ্যুতের পয়সা দাও, বিদ্যুতের দাম বেশি, এ তর্কটা চলে না, ভিক্ষার চাল কাঁড়া না আকাড়া তা দেখার ক্ষমতা ভিখারির থাকে না, তাই নেপাল ভরসা, তারা সুযোগ বুঝে আরও বড় শর্ত দিচ্ছে, দেবে। পাকিস্তান বুঝেসুঝেই ভিসাহীন করে দিল, এবারে ইসলামিক মৌলবাদীদের খুব পরিশ্রম করে ভারতে ঢুকতে হবে না। ওদিকে দেশের মধ্যে বসে জামাতের সুরে সুর মিলিয়ে সেকুলার, ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটাই তুলে দেওয়ার ফিকিরে আছে ইউনুস সরকার, যিনি আক্ষরিক অর্থেই নন প্র্যাকটিসিং মুসলমান। ফরাসি রেস্তরাঁয় বসে যে যে মাংসের অর্ডার করেছেন তা জনসমক্ষে আজ বলতেও পারবেন না। অবশ্য সভ্যসমাজে খাবার নিয়ে বাধানিষেধ ছিল না, থাকে না, সেই সময়ে তিনি কী কী খেয়েছেন তা নিয়ে আজ তাঁকে দোষ দেওয়া যায় না কিন্তু তিনি আপাতত পাঁচ ওয়াক্তের নমাজধারী মুসলমান হতে বাধ্য, তিনি চেপে পড়েছেন বাঘের পিঠে, নামলে বাঘে খাবে, তিনি বিলক্ষণ জানেন। আলবাত হাসিনার সময়ের অপশাসন একটা বড়সড় ইস্যু, কিন্তু তার বদলে এই নৈরাজ্য, জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে কেউ দেখার নেই, পুলিশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, কে কোন দফতর দেখছেন সেখানে কী হচ্ছে কেউ জানে না, আর এই সুযোগে নেপোয় মারে দই। দুই পরিচিত পাট ব্যবসায়ী, তাঁরা বাংলাদেশের পাট ব্যবসার ৬০ শতাংশ দেখেন, তাঁদের অধীনে, তাঁর হাতে চলে গেল পাট দফতর, পৃথিবীর কোথাও এটা হয়? বাংলাদেশে হচ্ছে। তবে এটা চলতে পারে না, আবার উত্তাল হবে বাংলাদেশ, আজ নয় কাল, কিন্তু আমার মনে হয় তা আরও খারাপ দিন ডেকে আনবে, এই নৈরাজ্য খুব সহজে পিছু ছাড়বে না বাংলাদেশের। ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্রের ভিত্তিতে যে মুক্তিযুদ্ধ চেতনার জন্ম হয়েছিল, তার খানিকটা শেষ করেছেন হাসিনা নিজে, আর বাকিটা দায়িত্ব নিয়ে কবরে পাঠাচ্ছে ইউনুস অ্যান্ড কোম্পানি। পালাবদল অনিবার্য, কিন্তু তা বাংলাদেশকে নিয়ে যাবে এক অন্ধকার গর্তের দিকে।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
Iran-Israel | ইজরায়েলের মি/সাই/ল হা/না আজারবাইজানে, প্রবল উ/ত্তেজ/না মধ্যপ্রাচ্যে, দেখুন বড় খবর
00:00
Video thumbnail
Donald Trump | Israel | ইজরায়েলকে সমর্থন আমেরিকার এবার কী হবে? দেখুন স্পেশাল রিপোর্ট
00:00
Video thumbnail
Iran-Israel | ইরানের ব্যালেস্টিক মি/সা/ইল কনভয় হা/ম/লা ইজরায়েলের, বিপুল বি/স্ফো/রণ,দেখুন কী অবস্থা
00:00
Video thumbnail
Supreme Court | Journalist | সাংবাদিককে গ্রেফতার রেগে আ/গু/ন সুপ্রিম কোর্ট, কী বলল দেখুন
01:13:15
Video thumbnail
Iran-Israel | ইরানের সমর্থনে রাশিয়া, ইজরায়েলের সমর্থনে আমেরিকা, তৃতীয় বিশ্বযু/দ্ধের আ/শ/ঙ্কায়
54:33
Video thumbnail
TMC | Humayun Kabir | হুমায়ুন কবিরকে চরমপত্র তৃণমূল কংগ্রেসের
01:40:38
Video thumbnail
Iran-Israel | ইরান-ইজরায়েল যু/দ্ধ শুরু, ইরানের পাশে কোন কোন দেশ? কী করবে আমেরিকা?
04:04:41
Video thumbnail
Narod Narod (নারদ নারদ) | সমবায় নির্বাচন নিয়ে শাসক বিরোধী তরজা, এবার কী হবে?
28:58
Video thumbnail
বাংলা বলছে (Bangla Bolche) | এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দু/র্ঘটনায় কোন রহস্য?
53:57
Video thumbnail
Air India | বিমান দু/র্ঘটনা কাণ্ডে কখন মে ডে কল করেন পাইলট? কী তথ্য মিলছে এটিসি-র রেকর্ডিংয়ে?
50:34