বনগাঁ: ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত চার শ্রমিকের দেহ ফিরিয়ে আনতে রাজ্য সরকারের সাহায্য চাইল পরিবার। এই চার পরিযায়ী শ্রমিকেরই বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনায়। এর মধ্যে তিন জনের বাড়ি অশোকনগর থানা এলাকার আসুদিতে। অপর এক শ্রমিকের বাড়ি হরিণঘাটা থানা এলাকায়।
একটি বেসরকারি কোম্পানির কাজে ৫ মার্চ কেরালায় যায় ১০ জন শ্রমিকের একটি দল। অশোকনগরের শ্রীকৃষ্ণপুর পঞ্চায়েতের আসুদি গ্রাম থেকে তাঁরা গিয়েছিলেন। হরিণঘা্টা থেকেও কয়েক জন পরিযায়ী শ্রমিককে নিয়ে যাওয়া হয়। শুক্রবার মাটি কাটার সময় আচমকা ধস নামলে, চাপা পড়ে চার শ্রমিকের মৃত্যু হয়। আরও দু’জন শ্রমিকও আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃতদের মধ্যে রয়েছেন আশোকনগরের বেড়াবেড়ি পঞ্চায়েতের সালারহাটের বাসিন্দা কুদ্দুস মণ্ডল, শ্রীকৃষ্ণপুর পঞ্চায়েতের আসুদি গ্রামের নজ্জেস আলি ও নুর আমিন মণ্ডল এবং হরিণঘাটার বাসিন্দা ফয়জুল মণ্ডল।
শুক্রবার রাতেই অশোকনগরের শ্রীকৃষ্ণপুর সেখানকার তিন শ্রমিকের মৃত্যুসংবাদ এসে পৌঁছয়। স্বভাবতই শোকের ছায়া নেমে আসে। শ্রমিকদের দেহ কী করে ফেরানো হবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন পরিবারের সদস্যরা। কেরালা থেকে স্বজনদের দেহ ফিরিয়ে আনার মতো আর্থিক সামার্থ্য নেই পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারগুলির। এই অসহায় পরিস্থিতিতে তাঁরা রাজ্য সরকারের মুখাপেক্ষী হয়েছেন।
আরও পড়ুন: Tapan Kandu Murder Case: ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তপন কান্দুর স্ত্রীর গোপন জবানবন্দি
অশোকনগর ও হরিণঘাটার যে চার শ্রমিক কেরালায় মারা গিয়েছেন, তাঁদের উপার্জনেই সংসার চলত। ফলে, আগামী দিনে সংসার কী করে চলবে, সেই দুশ্চিন্তাও তাঁদের তারিয়ে বেড়াচ্ছে। এমত অবস্থায় পরিবারগুলি চাইছে, আর্থিক সাহায্য দিয়ে রাজ্য সরকার পাশে দাঁড়াক। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাদের সেই অসহায় আর্তি পৌঁছেছে কি না, জানা যায়নি। তবে, পরিবারগুলি আশবাদী, বাংলার মা-মাটি-মানুষ সরকার তাদের নিরাশ করবে না।