বারাসত: ক্লাসরুমে এক ছাত্রকে ক্রমাগত চড় থাপ্পড় মারছেন শিক্ষক। মারতে মারতে ছাত্রকে বের করে দেওয়া হচ্ছে শ্রেণিকক্ষ থেকে। গোটা ঘটনা মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করেছে তারই এক সহপাঠী। শুধু তাই নয়, ওই ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। বারাসত মহাত্মা গান্ধী মেমোরিয়াল হাই স্কুলের ওই ভিডিয়ো মুহূর্তেই ভাইরাল (Barasat School Viral Video) হয়ে যায়। শিক্ষকের মারের ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, বিদ্যালয়ে ইতিহাসের শিক্ষক একদশ শ্রেনীর এক ছাত্রকে মারতে মারতে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন। একটা দুটো চড় নয়, লাগাতার চড় মেরেই চলেছেন ওই শিক্ষক। পিছন থেকে অন্য ছাত্রদের বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘ভিডিয়ো কর, ভিডিয়ো কর, ভাইরাল করতে হবে। ছাত্রকে অত্যাচার করছে শিক্ষক’। সেই মারের ভিডিয়ো দেখে নিন্দায় সরব হয়েছেন অনেকেই। আবার অনেকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার সাথে সহমতও হয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে ইতিহাসের শিক্ষক সমীর বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, একাদশ শ্রেণিতে ইতিহাসের প্রজেক্ট জমা নিচ্ছিলাম। করোনা অতিমারির কারণে একসঙ্গে ভিড় জমাতে বারবার বারণ করি। অথচ ওই ছাত্রটি কোনও কথা না শুনে আমার পিছনে দাঁড়িয়ে মাথায় ফুঁ দিচ্ছিল, ক্রমাগত চাঁটি মারছিল। প্রথমে আমি বিষয়টি অগ্রাহ্য করি। কিন্তু ওই ছাত্র একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটায়। তখন তাকে ক্লাস থেকে বের করানোর জন্য আমি হাত তুলতে বাধ্য হই।
আরও পড়ুন: Jhalda Councillor Murder: ঝালদায় তপন খুনে জিজ্ঞাসাবাদ প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ আলী আহসান জানান, যেই সময় এই ঘটনা ঘটে, তখন তিনি বিদ্যালয়ে ছিলেন না। পুরো ঘটনার কথা তিনি শুনেছেন। তবে এখনও পর্যন্ত দুই তরফ থেকে কোনও অভিযোগ আসেনি। তিনি এও বলেন, বিদ্যালয়ে মোবাইল নিয়ে আসা উচিৎ নয় কোন ছাত্রের, কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে অনলাইন এডুকেশন চালু হওয়ায় অনেক ছাত্রই মোবাইল নিয়ে স্কুলে আসছে। প্রধান শিক্ষক জানান, যেটা হয়েছে সেটা কাম্য নয়। পুরো বিষয় ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।