আলিপুরদুয়ার: মদ্যপ ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করল বাবা। আলিপুরদুয়ারের ঘরঘড়িয়া এলাকার ঘটনা। পুলিস জানায়, মৃতের নাম মিঠুন দাস। রবিবার গভীর রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাবা-মাকে মারধর করে মিঠুন। শেষমেশ ছেলের অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ ওঠে বাবার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
আলিপুরদুয়ারের ঘরঘড়িয়া ৬ মাইলের বাসিন্দা পরেশ দাস। স্ত্রী এবং দুই ছেলেকে নিয়ে তাঁর সংসার। স্থানীয়রা জানান, ছোটছেলে মিঠুন দীর্ঘদিন ধরেই মদের নেশায় আসক্ত ছিল। মত্ত অবস্থায় বাবা মা ও পরিবারের সদস্যদের প্রতিদিন মারধর করত মিঠুন। এই ঘটনায় একাধিকবার থানায় অভিযোগ জানায় পরিবার। তা নিয়ে বেশ কয়েকবার গ্রামে সালিশি সভাও হয়। তবে সেখানেও কোনও সমাধান সূত্র বেরোয়নি। রবিবার মাঝরাতে আবার মদ খেয়ে বাড়ি ফেরে মিঠুন। ঘরে ফিরেই পরিবারের সবাইকে বেধড়ক মারধর শুরু করে। ওই অত্যাচার আর সহ্য করতে না পেরে পরেশ ছেলেকে আষ্ঠেপৃষ্ঠে দড়ি দিয়ে বাঁধেন। তারপর গলায় দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়।
পরেশ দাস ছেলেকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, পাঁচ-ছয় বছর ধরে প্রতিদিন এই অত্যাচার সহ্য করছি। ছেলেক রিহাব সেন্টারেও পাঠিয়েছিলাম। ওরা বলেছিল, মদের নেশা কেটে যাবে। কিন্তু কিছুই হয়নি। একাধিকবার থানায় অভিযোগ, সালিশি সভা করেও কিছু লাভ হয়নি। তাই নিজের ছেলেকে নিজেই মেরে ফেলেছি।
আরও পড়ুন: SSC Recruitment Case: স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপদেষ্টা কমিটির চার সদস্যকে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ
খুনের খবর পেয়ে পরেশ দাসের বাড়িতে পৌঁছয় সোনাপুর ফাঁড়ির পুলিস ও আলিপুরদুয়ার থানার আইসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্য। পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। অভিযুক্ত পরেশকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।