কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: ৮০ ঘণ্টা তল্লাশি। অবশ্য একে তল্লাশি নয়, ‘তাণ্ডব’ বলাই ভালো। ইনকাম ট্যাক্স রেডের নামে টানা ১৬ অগস্ট সকাল থেকে টানা তিনদিন ধরে হেনস্তা করা হয়েছে কলকাতা টিভি কর্মীদের। ৮০ ঘণ্টা তল্লাশির পর অবশ্য খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে আয়কর হানাদারদের। তল্লাশিতে কিছু না পেয়ে রূঢ় ব্যবহারও করেন আধিকারিকেরা। বহু কর্মীকে ৪৮ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। অনেকের মনেই প্রশ্ন, এই হানার পিছনে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই তো?
কলকাতা টিভির উপর আঘাত হানতে মোট ৫৫০ জনের টিম গঠন করা হয়। সারা দেশে ৩টি কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়। ৩৬০ জনকে নিযুক্ত করা হয় সার্চিং অপারেশনে। বাকিরা ছিলেন কন্ট্রোল রুমে। ৩৫০ জন সিআরপিএফ জওয়ানকেও কাজে লাগানো হয়। ১৬ অগস্ট সকাল ৬টা থেকে ১৯ অগস্ট বেলা ১টা ৪০ পর্যন্ত কলকাতা টিভির মূল দফতরে চলে তল্লাশি। সংস্থার দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, চেন্নাইয়ের অফিসেও চালানো হয় তল্লাশি।
কী কী মিলল আয়কর হানায়
- কলকাতা টিভির প্রধান অফিস থেকে মোট ১০ লক্ষ ২৯ হাজার ২০ টাকা পান আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা। এর মধ্যে বাজেয়াপ্ত করা হয় ৯ লক্ষ টাকা। বাকি ১ লক্ষ ২৯ হাজার ২০ টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
- কলকাতা টিভির সম্পাদক কৌস্তুভ রায়ের বাড়ি থেকে মোট ১০ লক্ষ ৬২ হাজার ৪০০ টাকা পান আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা। এর মধ্যে বাজেয়াপ্ত করা হয় ৯ লক্ষ টাকা। বাকি ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৪০০ টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
কলকাতা টিভির ডিরেক্টরদের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছিল আয়কর দফতর। সব জায়গা থেকেই শূন্য হাতে ফিরতে হয় তাদের। (কলকাতা টিভির হিসেব অনুযায়ী বিভিন্ন সময় ব্যাঙ্ক থেকে তোলা অর্থের মোট অঙ্কই ৯ লক্ষ। চ্যানেলে হঠাৎ কোনও টেকনিক্যাল সমস্যা বা কোনও যন্ত্রাংশের সমস্যা হলে তা সমাধানের জন্যই এই নগদ অর্থ সব সময় রাখা হয়)।