কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: ইমরান খানের গ্রেফতারির আশঙ্কায় তাঁর বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছেন হাজার হাজার দলীয় কর্মী। এদিকে, প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবীরা সোমবারই ইমরানের আগাম জামিনের আবেদন জানাতে চলেছেন। সূত্রের খবর, তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাতে আগাম জামিনের আর্জি মঞ্জুর করতে পারে আদালত। সব মিলিয়ে সরকারপক্ষ ও ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের লড়াই ফের তীব্র আকার নিতে পারে।
সন্ত্রাসবাদ দমন আইনে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে শেহবাজ শরিফের সরকার। এর আগে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ তদন্তকারী সংস্থা এফআইএ-র দুটি নোটিস অগ্রাহ্য করেছেন প্রাক্তন কিংবদন্তি ক্রিকেটার। সে কারণে তাঁকে এবার গ্রেফতার করা হতে পারে বলে সন্দেহ অনেকেরই। তাই রবিবার রাত থেকে ইমরানের ইসলামাবাদের পাহাড়ের উপর তাঁর বাসভবনের সামনে জমায়েত করেছে দলের সমর্থকরা। ইমরানের দল ইতিমধ্যেই সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, ইমরান হলেন অন্তিম সীমানা। তা যেন কোনওভাবেই পার না করে সরকার।
আরও পড়ুন: Singapore: অবশেষে পুরুষ সমকামী আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত সিঙ্গাপুর সরকার
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে দেশদ্রোহের অভিযোগে ইমরান ঘনিষ্ঠ নেতা শাহবাজ গিল গ্রেফতার হন। সেই প্রসঙ্গ তুলে ইমরান শীর্ষ পুলিস অফিসার, এক মহিলা ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাচন কমিশন এবং বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেন। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তান ইলেকট্রনিক মিডিয়া রেগুলেটরি অথরিটির (PEMRA) পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কিছু সম্প্রচারে বারবার নিষেধ করা হয়েছিল টিভি চ্যানেলগুলোকে। একই অভিযোগের মামলায় ইমরান খানকেও যে কোনও মুহূর্তে গ্রেফতার করতে পারে দেশের সর্বোচ্চ তদন্তকারী সংস্থা ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (FIA)। ইমরানকে এর আগে হাজিরার একটি নোটিস দেওয়া হলেও তিনি সংস্থার মুখোমুখি হননি। তারপর দ্বিতীয়বার তাঁকে হাজিরার নোটিস দেওয়া হয়। এবারেও তিনি হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন।
এই অবস্থায় তেহরিক-ই-ইনসাফের পক্ষ থেকে টুইটে প্রচার করা হচ্ছে যে, ইমরান খান হামারি রেড লাইন। বর্ষীয়ান নেতা ফাওয়াদ চৌধুরি দলীয় কর্মীদের ইমরানের বাসভবন বানিগালার সামনের জমায়েত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি টুইটে একটি ভিডিয়ো দিয়ে দেখিয়েছেন, কীভাবে বাস ভর্তি করে দলীয় কর্মীরা বানিগালার সামনে এসে জড়ো হচ্ছেন। অন্যদিকে শেহবাজ শরিফকে কড়া হুমকি দিয়ে পিটিআই নেতা আলি আমিন গন্দাপুর বলেছেন, ইসলামাবাদের দখল নেবেন তাঁরা। পুলিশকে বলেছেন, এই রাজনৈতিক যুদ্ধে যেন তারা কোনও পক্ষ অবলম্বন না করে।