মহারাষ্ট্র: মহারাষ্ট্র বিধানসভা চত্বরের বাইরে বুধবার শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়কদের মধ্যে তুমুল হাতাহাতি চলল। যে যাঁকে হাতের সামনে পেয়েছেন, তাঁকেই ঘুসি মারা হয়েছে। শিণ্ডে এবং উদ্ধব শিবিরের এই মারামারির জেরে রীতিমতো রণক্ষেত্রের রূপ নেয় আদালত চত্বর।
বিধানসভা সূত্রের খবর, বিরোধী সদস্যরা লাগাতার শিণ্ডে শিবিরের বিরুদ্ধে কটূক্তি করছিলেন। অভিযোগ তোলা হচ্ছিল, দলবদলের জন্য শিণ্ডে শিবির কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন একাধিক বিধায়কের কাছ থেকে। পাল্টা অভিযোগ তোলা হয় শিণ্ডে শিবিরের তরফে। মুখ্য সচেতক ভরত গোগওয়ালের নেতৃত্বে শাসকদলের বিধায়করা পূর্বতন মহা বিকাশ আগাড়ি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন। তারপরেই শুরু হয় দুই দলের মধ্যে হাতাহাতি। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে বিধানসভার ভিতরে বিরোধীদের হুমকি দেন। তিনি বিরোধীদের সতর্ক করে বলেন, সব কিছুর একটা সীমা আছে। আপনারা সীমা ছাড়িয়ে যাবেন না। সেই প্রসঙ্গও উঠে আসে এদিন বিধানসভার বাইরের সিঁড়িতে। বিজেপি বিধায়ক মহেশ শিণ্ডে এবং এনসিপির বিধান পরিষদ সদস্য অমল মিটকারি মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। বিরোধী দলনেতা অজিত পাওয়ার দলীয় বিধায়কদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। বিজেপি বিধায়ক শিণ্ডে এমভিএ জোটের সদস্য অমলকে ধাক্কা দেন। এর প্রতিবাদে বিরোধী সদস্যরা সিঁড়িতে বিক্ষোভ দেখান। তখন ফের মারামারি হয় দুই দলের মধ্যে। পরে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অজিত পাওয়ার গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানান।
শিণ্ডে শিবিরের মুখ্য সচেতক গোগওয়ালে বলেন, আমাদের বিধায়করা চুপ করে হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন না। আমরাও উপযুক্ত জবাব দেব ওদের ভাষাতেই। তাঁর অভিযোগ, বিরোধীরা অনেক দিন ধরেই টিটকিরি করছেন। তার পাল্টা দিতেই ওরা তেড়ে আসে। তিনি বলেন, আমরা প্রথমে আক্রান্ত হই। তাই বলে কেউ যেন আমাদের দুর্বল না ভাবে।