দিল্লি: ভ্যাকসিন নেই। কাজেই বন্ধ থাকবে টিকাকরণ কেন্দ্র। সোমবার এমনটাই জানালেন দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া।
রোজ প্রায় দেড়লক্ষ টিকা দেওয়ার টার্গেট থাকলেও ভ্যাকসিনের অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না। সোমবার রাত ১০ টা পর্যন্ত দিল্লিতে মাত্র ৩৬,৩১০ টি ভ্যাকসিন ডোজ দেওয়া হয়েছে।
ভ্যাকসিনের আকাল নিয়ে নিজের ট্যুইটারে উপ-মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘দিল্লিতে আবারও ফুরিয়েছে ভ্যাকসিন। কেন্দ্রীয় সরকার এক-দু’দিনের জন্য ভ্যাকসিন দেয়, তারপরে আমাদের বেশ কয়েকটি দিন ভ্যাকসিন সেন্টার বন্ধ রাখতে হয়। এত দিন পরেও কেন আমাদের দেশের ভ্যাকসিন কর্মসূচি বিঘ্নিত হচ্ছে?’
दिल्ली में वैक्सीन फिर ख़त्म हो गई है… केंद्र सरकार एक दो दिन की वैक्सीन देती है, फिर हमें कई दिन वैक्सीन केंद्र बंद रखने पड़ते हैं.
केंद्र सरकार की क्या मजबूरी है…इतने दिन बाद भी हमारे देश का वैक्सीन प्रोग्राम लड़खड़ा कर क्यूँ चल रहा है? pic.twitter.com/rXJEBQJRtt
— Manish Sisodia (@msisodia) July 12, 2021
গত ২১ শে জুন থেকে নতুন করে করোনা টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। তবে, প্রথম থেকেই ভ্যাকসিনের আকাল নিয়ে সরব হয়েছিল রাজধানী। দিল্লি ছাড়াও মহারাষ্ট্রের মতো কয়েকটি রাজ্যও ভ্যাকসিনের ঘাটতির বিষয় নিয়ে সরব হয়েছে।
অন্যদিকে কোউইন প্ল্যাটফর্মে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, ভারতে ২১-২৭ জুনে পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ৬১.১৪ লক্ষ ডোজ সরবরাহ করা হয়েছে। যা ২৮ জুনের পরের সপ্তাহে, দিনে ৪১.৯২ লক্ষ ডোজে নেমে এসেছে। এরপর ৫-১১ জুলাই তা কমে দাঁড়ায় ৩৪.৩২ লক্ষ।
যদিও স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ১.৫৪ কোটি অব্যবহৃত করোনা ভ্যাকসিন ডোজ এখনও রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং বেসরকারী হাসপাতালে রয়েছে।
ইতিমধ্যেই সারা দেশে প্রায় ৩৮ কোটি নাগরিক ভ্যাকসিন নিয়েছেন। এবং কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের প্রাপ্তবয়স্কদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে যাবে।