খড়্গপুরের রবীন্দ্র ইনস্টিটিউট হলে সভা চলছিল বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি, মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষের। রাজ্য সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে গরমাগরম বক্তৃতা দিচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎ পিছনের দিকে আওয়াজ উঠল- ‘এই তো খুঁজে পেয়েছি!’ তার পরই দেখা যায়, এক মহিলাকে ধরে মারতে মারতে বের করে আনছেন ৩-৪ জন মহিলা। এর পর কোমরে দড়ি বেঁধে গাড়ি করে ওই মহিলাকে চৌরঙ্গীর মোড়ে নামকরা এক হোটেলে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হয়।
বৃহস্পতিবার শহরের গোলবাজারের ওই প্রেক্ষাগৃহে দিলীপ ঘোষের বক্তৃতা চলাকালীনই ঘটনাটি ঘটে। খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ ওই মহিলাকে উদ্ধার করেছে। হোটেলের মালিক সহ ৫ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। শেফালী রায় নামে ওই মহিলা রেলে চাকরি দেওয়ার নাম করে দলেরই কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে প্রতারণা করেছিলেন বলে অভিযোগ। তার জেরেই এ দিনের ঘটনা বলে খবর।
এদিন দুপুরে খড়্গপুরে বিজেপির শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় রেলওয়ে মালগুদাম শ্রমিক সংঘের অনুষ্ঠান চলছিল। সেই অনুষ্ঠানে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে যোগ দিতে আসেন সদস্যরা। মালদা থেকে এসেছিলেন শেফালী রায় নামে ওই মহিলা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ। অনুষ্ঠান চলাকালীন প্রতারিতরা শেফালীকে পান। তার পরই তাঁকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে নিয়ে গিয়ে, মারধর করে দড়ি দিয়ে বেঁধে টেনে হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রতারিতদের অভিযোগ, শেফালি রায়কে রেলের চাকরির জন্য টাকা দিয়েছিলেন অনেকেই। চাকরি তো হয়ইনি। বারবার শেফালীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোন সহযোগিতা করেননি উনি। আজ তাঁকে এই অনুষ্ঠানে দেখতে পেয়েছি! এই ব্যাপারে দিলীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, সংগঠনের নেতারা এই বিষয়ে বলতে পারবেন। যদিও ইউনিয়নের নেতারা কিছু বলতে চাননি। এদিকে ওই মহিলাকে মারধরের অভিযোগে পুলিশ ৫ জনকে আটক করেছে।