দুপুরে পুরনো হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপরই শুরু হয় জল্পনা-গুঞ্জন। তাহলে কি জহর সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে চলেছে দল? বিতর্ক শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্যদের নিয়ে তৈরি হয় নতুন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। যেখানে রয়েছেন জহর সরকার-সহ তৃণমূলের সকল সদস্যও। পুরানো গ্রুপ বন্ধ ও নতুন গ্রুপ খোলা পুরো বিষয়টি মেনে নিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য শান্তনু সেন।
জহর সরকারকে নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই চাপানউতোর চলছিল। দিন কয়েক আগেই তৃণমূলের এই রাজ্য সভার সদস্য মন্তব্য করেছিলেন দলের একাংশে পচন ধরে গিয়েছে। এই পচন রোধ না হলে ২০২৪-এ লড়াই করা অসম্ভব। সেখানেই না থেমে জহর সরকার দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বাড়ির লোকজনের সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গও তুলেছিলেন। আত্মীয় থেকে বন্ধুরা তাঁকে তৃণমূল ছাড়ার কথা বলেছেন বলেও জানান জহর। কেন তিনি এখনও তৃণমূলে আছেন, সে প্রশ্নও বন্ধুরা করেন তাঁকে। এমন প্রশ্ন তিনি যে অপমানিত-লাঞ্ছিত, তাও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। তৃণমূল সম্পর্কে বলতে গিয়ে সে দিন জহর বলেন, বন্ধুরা জানতে চাইছে, আমি কতটা পেয়েছি।
এমন কথা বলার পরই জহর সম্পর্কে দলের মধ্যে বাড়তে থাকে অস্বস্তি। মুখ খোলেন লোকসভার সদস্য সৌগত রায়। বলেন, “জহর সরকার কোনও দিন তৃণমূলের মিছিলে হাঁটেননি। ওঁকে সব চেয়ে লোভনীয় পদ রাজ্যসভার সাংসদ করেছিল দল। তিনি কি না দলের ভিতরে না বলে প্রকাশ্যে দল বিরোধী কথা বলে দিলেন! এটা খুবই লজ্জার কথা। ওঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।” তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র তাপস রায়ের কথায়, ‘‘জহরবাবুর এই মন্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং অরাজনৈতিক।’’ তাঁর কথায়, ‘‘রাজ্যসভার ভোটে জহরবাবুর নির্বাচনী এজেন্ট হয়েছিলাম। আজ লজ্জা হচ্ছে।’’ সুখেন্দুশেখরের বলেন, ‘‘দায়িত্বশীল মানুষের দায়িত্বশীল আচরণ করা উচিত।’’
এত সব কিছুর পর জল্পনা বড় আকার নিয়েছিল শনিবারের বার বেলায়। যখন তৃণমূলের রাজ্যসভার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় জহরকে। জল্পনা যখনই চূড়ান্ত হচ্ছিল তখন ফের একটি নতুন গ্রুপ তৈরির খবর সামনে আসে। যে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জহর সরকার-সহ প্রতিটি রাজ্যসভার সদস্য রয়েছেন।