বাগুইআটি: বাগুইআটি জোড়া খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। বুধবার ধৃত ওই তিনজনকে বারাসত আদালতে তোলা হলে তাদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। বাগুইআটি জোড়া খুনের ঘটনায় তদন্তে নেমে পুলিশ মোট চার জনকে গ্রেফতার করে। গতকাল এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বারাসত আদালতে তোলার পর আজ আরও তিন অভিযুক্তকে নিয়ে আসা হয়। ধৃত তিন জনের নাম মহম্মদ শামিম আলি, সাহিল মোল্লা, দিব্যেন্দু দাস।
বুধবার সকাল থেকে এই ঘটনার প্রতিবাদে পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। এদিন বিজেপির মহিলা মোর্চার তরফে বাগুইআটি থানা ঘেরাও করা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে বিক্ষোভ কর্মসূচি। এখনও পর্যন্ত অধরা মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় ইতিমধ্যে সিআইডিকে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। বাগুইআটি থানার আইসিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Uttar Pradesh: হাজার টাকা দিতে না পারায় অন্তঃসত্ত্বা যুবতীকে রাস্তায় ফেলে পালাল অ্যাম্বুল্যান্স চালক
সূত্রের খবর, এই ঘটনায় আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে। ধৃত অভিজিৎকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, অতনুকে খুন করার ছক কষেছিল সত্যেন্দ্র। এর জন্য চারজন সুপারি কিলার নিয়োগ করে সত্যেন্দ্র। তাদের রাজারহাটের একটি হোটেলে তিনদিন ধরে রাখা হয়। সেই হোটেলেই মিলেছে খুনের ব্লু প্রিন্ট। অভিযুক্তদের মূল লক্ষ্য ছিল অতনুকে খুন করার। তবে কী উদ্দেশ্যে অতনুকে খুন করা হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যে বাগুইআটির দুই কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছেন মন্ত্রী শশী পাঁজা।