কলকাতা: উপাচার্য(Vice-Chancellor) পদে ফের সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Sonali Chakravarti Banerjee) নিয়োগ করা নিয়ে রাজ্য সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court) ওই সিদ্ধান্ত রাজ্য এককভাবে নিতে পারে না, এই যুক্তিতে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে দিল উচ্চ আদালত। ফলে ২০২১ সালের ২৭ আগস্ট কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে তাঁর পুনর্নিয়োগ নিয়ে যে নির্দেশিকা রাজ্য সরকার জারি করেছিল তা বাতিল হয়ে গেল।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে তাঁর পুনর্নিয়োগের ব্যাপারে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের(Division bench of Chief Justice) এই নির্দেশের পরে ফের আইনি পদক্ষেপে উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার(State Government)। রাজ্য এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না হাইকোর্টে ওই ঘোষণার পর রাজ্যের পক্ষ থেকে রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়। কিন্তু সে আর্জিও খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। সূত্রের খবর ওই রায়ের বিরুদ্ধে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে রাজ্য সরকার৷ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: সুকান্তর সাংবাদিক বৈঠকে ঢুকতে বাধা কলকাতা টিভিকে
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে যোগ দেন। ওই সময়ে অস্থায়ী উপাচার্য সুরঞ্জন দাস(Suranjan Das) যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেওয়ার পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিযুক্ত হন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই স্নাতক। অবশ্য উপাচার্যের দায়িত্ব পাওয়ার আগে তিনি 2014 সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ- উপাচার্যের পদে ছিলেন। কিন্তু ২০২১ সালের ২৭ আগস্ট কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে তাঁর পুনর্নিয়োগ নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়(Jagdeep Dhankar)।
ওই বিষয়ে রাজ্যপাল আর শিক্ষা দফতরের মধ্যে দড়ি টানাটানিতে সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপাচার্য পদে মেয়াদ শেষ হওয়ার মুখে বিশেষ ক্ষমতাবলে রাজ্য সরকার তাঁর নিয়োগের ব্যাপারে নির্দেশ জারি করে৷ কিন্তু সেই নির্দেশে আচার্যের অনুমোদন জরুরি কি না, তা জানতে চেয়ে বিষয়টি একটি জনস্বার্থমূলক মামলার আবেদনের ভিত্তিতে আদালতে যায়। কলকাতা হাইকোর্ট মঙ্গলবার জানিয়েছে, ওই নির্দেশ-সহ সমস্ত নিয়োগ, পুনর্নিয়োগ এবং মেয়াদবৃদ্ধির ক্ষেত্রে আচার্যের সম্মতিসূচক অনুমোদন প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: আজ পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচন করবেন মমত বন্দ্যোপাধ্যায়
২০২১ সালে তাঁকে উপাচার্য পদে পুনর্নিয়োগ করার পরে ওই ব্যাপারে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। রাজ্য সরকার কীভাবে এই পদ্ধতিতে মেয়াদ শেষ হওয়া উপাচার্যকে পুনর্নিয়োগ করে, সেই প্রশ্ন তুলে মামলা করেন কয়েকজন আইনজীবী।