বাংলা ছবিকে সরিয়ে হিন্দি ছবিকে জায়গা করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বাংলার সবথেকে বড় প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ এর বিরুদ্ধে। তিন দিনে রনবির-আলিয়ার ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ২০০ কোটির বেশি আয় করেছে। এই ছবিতেই সামনে রেখে বলিউড ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে। অন্যদিকে এই মুহূর্তে টলিউডের সেরা ছবি কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত ‘লক্ষ্মী ছেলে’।‘ব্রহ্মাস্ত্র’র জন্য ‘লক্ষী ছেলে’ সরানোর চাপ দেওয়া হচ্ছে হল মালিকদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন ‘প্রিয়া’ সিনেমার কর্ণধার অরিজিৎ দত্ত। এ ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করে ‘লক্ষ্মী ছেলে’র প্রযোজক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বিষয়টি যথেষ্ট দুঃখের মন্তব্য করেছেন। শিবপ্রসাদ আরো মন্তব্য করেন যে করণা পরবর্তী সময়ে বাংলা ছবির উপর এইভাবে আঘাত করা উচিত নয়। প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে গোটা দেশে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’র জন্য বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে হলের সংখ্যা এবং সেই সঙ্গে শোর সংখ্যা। পশ্চিমবঙ্গে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’র ডিস্ট্রিবিউশন এর দায়িত্ব রয়েছে এসভিএফ। কাজেই স্বাভাবিক কারণেই এসভিএফ হল মালিকদের উপর বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করছে। এই ধরনের অভিযোগ অথিত এই সংস্থার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় উঠেছে। টলিউড অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় তার ছবি ‘শ্রীমতি’র সময় এই একই ধরনের অভিযোগ তুলেছিলেন। এমনকি পরিচালক তথাগত মুখোপাধ্যায়ের ছবি ভটভটির সময়ও মুখ খুলতে দেখা গিয়েছিল ছবির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেককেই। এই মুহূর্তে শিবপ্রসাদ পরিচালিত ‘উইন্ডোজ’ প্রযোজিত ‘লক্ষ্মী ছেলে’ ছবিটি চলছে মাত্র দুটি হলে। একটি প্রিয়া এবং অপরটি নবীনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রিয়া সিনেমা হলের মালিক অরিজিত দত্ত আরো অভিযোগ করেছেন যে আগামী সপ্তাহের বাংলা ছবি রিলিজ ক্যানসেল করার প্রস্তাব এসভিএফ এর তরফে দেওয়া হয়েছে। যা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক বলে অরিজিৎ মনে করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার এই পোস্ট দেখে এসভিএফ-এর অন্যতম কর্ণধার মহেন্দ্র সোনি পাল্টা পোস্ট করে লিখেছেন, ‘… আপনাকে কোনভাবেই জোর করা হয়নি’।
Html code here! Replace this with any non empty text and that's it.