কেরল: পাখির সঙ্গে যুদ্ধ নয়। পাখি নিয়ে রাজনীতিও নয়। গাছে যদি পাখির বাসা থাকে এবং সেই বাসায় যদি পাখির ছানা বা ডিম থাকে, সে ক্ষেত্রে কোনও ধরনের নির্মাণ কাজের জন্যই সেই গাছ কাটা যাবে না। এই মত দিয়েছে কেরল সরকার(Kerala Government)। সম্প্রতি কোঝিকোড়(Kozhikode) জেলায় এনএইচ-৬৬ জাতীয় সড়ক চওড়া(NH-66 widening) করার করার কাজ করতে গিয়ে বুলডোজার এবং অন্যান্য যন্ত্র দিয়ে একটি প্রাচীন তেঁতুল গাছ কেটে ফেলা হয়। সেই গাছে ছিল বহু পানকৌড়ি পাখির বাসা। আর প্রতিটি পাখির বাসায় ছিল পাখির ডিম এবং পাখির ছানা।
এই ঘটনায় মানুষের মধ্যে প্রবল প্রতিক্রিয়া হয় এবং সংবাদমাধ্যমে সেই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর কেরলের বনমন্ত্রী(Kerala Forest Minister) এ কে শশীন্দ্রণ(AK Saseendran) বলেন ‘অত্যন্ত নিষ্ঠুর কাজ হয়েছে। কেরলের মতো রাজ্যে এমন ঘটনা ঘটতে দেওয়া অনুচিত কাজ হয়েছে। উচিত ছিল ডিম ফুটে পাখির ছানার জন্ম হওয়া এবং একটু বড় হয়ে তাদের উড়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা। ভবিষ্যতে আর এমন ঘটনা ঘটতে দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: ইডির বকেয়া মামলায় এখনও জেলেই কাটাতে হবে কাপ্পানকে
পানকৌড়ি পাখি, ইংরেজিতে যার নাম ‘cormorant bird’, সাধারণত জুন থেকে অক্টোবরের মধ্যে গাছে বাসা বানিয়ে ডিম পাড়ে। এই পাখি বন্য প্রাণী আইন অনুসারে শিডিউল-৪-এর অন্তর্গত। এই ঘটনায় কেরল সরকার একজন ইঞ্জিনিয়ার সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। আটক করা হয়েছে বুলডোজারটিও। ঘটনাস্থল থেকে কেরলের বন দফতর ৪৩টি পানকৌড়ি পাখি উদ্ধার করেছে। এর মধ্যে ৩৭টি ছিল মৃত, ৬টি জীবন্ত