আইসিসি-র এলিট প্যানেলে (ICC Elite Panel) থাকা পাকিস্তানের প্রাক্তন আম্পয়ার আসাদ রউফ (Asad Rauf) প্রয়াত। লাহোরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৬৬ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন রউফ। ২০০৬-১৩ সালে আইসিসি-র এলিট প্যানেলে ছিলেন পেয়েছিলেন আসাদ। তিনি ৬৪টি টেস্ট, ১৩৯টি ওয়ানডে, ২৮টি টোয়েন্টি ম্যাচ পরিচালনা করিছিলেন। পুরুষদের পাশপাশি মহিলাদের ক্রিকেটও আন্তর্জাতিক ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে কাজ করেছেন। ক্রিকেটারদের সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক, দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্তগ্রহণ আর পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কারণে তিনি দুনিয়ার সেরা
আম্পায়ার-দের মধ্যে একজন হয়ে উঠেছিলেন। যদিও তাঁর কেরিয়ারের শেষটা কিন্তু বেশ হতাশার হয়। আইপিএলে স্পট ফিক্সিং (IPL Spot Fixing) কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে তাঁর আম্পয়ারিং কেরিয়ার পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়। স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারির পাশাপাশি নারীঘটিত কেলেঙ্কারিতেও তাঁর নাম জড়িয়েছিল। স্পট-ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে তাঁর নাম জড়ানোর পর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক করার অভিযোগ তুলেছিলেন এক মডেল। একটা সময় যে রউফ কত ঠিক সিদ্ধান্ত দিয়ে সবার পছন্দের হয়ে উঠেছিলেন, তিনি ব্যক্তিগত জীবনে একটার পর একটা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্রমশ বাইশ গজের দুনিয়া থেকে পুরোপুরি দূরে সরে যান। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এক ছবিতে দেখা যায় রউফ লাহোরের এক স্পোর্টস কিটস, জুতো, জামা-কাপড়ের দোকানে কাজ করছেন। আর্থিক সঙ্কট বাড়ায় পরিবার চালানোর জন্যই সেই দোকান দিয়েছিলেন বলে রউফ জানিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন-২০২৫ সাল পর্যন্ত বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
আটের দশকে পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে ডান হাতি ব্যাটার হিসেবে মোটের ওপর সফল হলেও, কখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার সুযোগ পাননি তিনি। তবে ক্রিকেটার হিসেবে সেভাবে সফল না হলেও আম্পয়ার হিসেবে কখনও তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ১৯৯৮ সালে প্রথমবার ক্রিকেটে আম্পায়ারিং, তার দু বছর পর প্রথম শ্রেণির ম্যাচে প্রথমবার আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এরপর ২০০০ সালে প্রথমবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পরিচালনা করেছিলেন রউফ। চার বছর বাদে আইসিসি-র ওডিআই প্যানেলে স্থান পেয়েছিলেন। এরপর ধাপে ধাপে উত্থান। শেষে তাঁর বর্ণময় কেরিয়ারের আচমকা অকাল পতন ঘটেছিলে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়েই। “তিনি বিতর্কিত, তিনি চর্চিত। কিন্তু মাঠে বল গড়ালে তিনি যে কোনও আম্পয়ারদের সেরা।” এভাবেই রউফকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছে বাইশ গজের দুনিয়া।