গত এক সপ্তাহ ধরে চলতে থাকা সরকার বিরোধী হিংসায় ইতিমধ্যেই ৩২ জনের প্রাণহানি হল দক্ষিণ আফ্রিকায়। মঙ্গলবার এমনটাই জানা গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার গাউতেঙ ও নাটাল প্রদেশের প্রশাসনের তরফে। দোকান থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি, কাপড়, খাবার এবং মদ লুঠতে গিয়েই পদপিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানিয়েছেন কাওজুলু-নাটাল প্রদেশের প্রধানমন্ত্রী সিলে জিকালালা।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরেই NEET স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা
গতকাল সোমবার পদপিষ্ঠ হয়ে যে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে ২৬ জনই নাটাল প্রদেশের বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন জিকালালা। এছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী জোহেন্সবার্গেও মৃত্যু হয়েছে ছয় জনের। উল্লেখ্য, এই নাটাল প্রদেশেই অবস্থিত রাজধানী জোহেন্সবার্গ।
অন্যদিকে এই লুটতরাজ আর হিংসাকে প্রতিহত করতে ইতিমধ্যেই পুলিশের পাশাপাশি ২৫০০ সেনা মোতায়েন করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রশাসন। সূত্রের খবর, জোহেন্সবার্গের একাধিক বড় বড় অভিজাত শপিংমল গুলিতে লুঠপাট চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। যার জেরে জোহেন্সবার্গসহ একাধিক শহরে বহু মানুষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই সেদেশের প্রায় ৯ টি প্রদেশে চূড়ান্ত অবনতি ঘটেছে আইনশৃঙ্খলার।
আরও পড়ুন: ভাটপাড়ায় দুষ্কৃতী হামলা
উল্লেখ্য, প্রাক্তণ প্রেসিডেন্ট জেকব জুমার গ্রেফতারির বিরুদ্ধে গত সপ্তাহেই হিংসার উদ্রেক হয় দক্ষিণ আফ্রিকার বৃহত্তম প্রদেশ নাটালে। জেকব জুমার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন দুর্নীতি করেছিলেন। তদন্তে আদালতের আদেশ অমান্য করার জন্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। যার জেরে গত ১৫ মাস ধরে শাস্তিভোগ করছিলেন তিনি। সেই ঘটনার জেরেই আন্দোলনে পথে নামেন জুমাপন্থীরা। সেই বিক্ষোভ ধীরে ধীরে রুপান্তরিত হয় হিংসায়। শুরু হয় লুঠতরাজ। যদিও প্রেসিডেন্ট জুমার শাস্তি দীর্ঘতর হবে কিনা সেই বিষয় গতকাল সোমবার স্পষ্ট ভাষায় কিছুই জানানো হয়নি সেদেশের সর্বোচ্চ আদালতের পক্ষ থেকে।