জোর বাঁচা বেঁচে গেল টিম ইন্ডিয়া। অ্যাডিলেডে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হারের মুখে থেকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে বাজিমাত করল ভারত। সাকিবদের ডিএল পদ্ধতিতে ৫ রানে হারিয়ে গ্রুপ শীর্ষে উঠল টিম ইন্ডিয়া (৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট)। সঙ্গে সেমিফাইনালে ওঠার রাস্তাও অনেকটা পাকা হল ভারতের। শেষ ম্যাচে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে খেলা বৃষ্টিতে ভেস্তে গেলেও শেষ চারে উঠবেন রোহিত শর্মা-রা। অথচ অ্যাডিলেডে একটা সময় মনে হচ্ছিল ভারত হেরে যাবে। ২০০৭ বিশ্বকাপে পোর্ট অফ স্পেন যেন ২০২২-এ অ্যাডিলেডে ফিরে আসছিল। শেষ অবধি, তেমন কিছু হল না। লোকেশ রাহুলের দুরন্ত ফিল্ডিং, আর্শদীপদের দুরন্ত বোলিং, সাকিবদের খারাপ ব্যাটিংয়ে জিতল ভারত।
প্রথমে ব্যাট করে ভারত ১৮৪ রানের জবাবে ওপেন করতে নেমে ঝড় তোলেন বাংলাদেশের ওপেনার লিটন দাস। বাংলাদেশের ইনিংসে ৭ ওভারে বিনা উইকেটে ৬৬ রানে থাকা অবস্থায় নামে বৃষ্টি। তখন সাকিবরা ডিএল পদ্ধতিতে ১৭ রানে এগিয়ে। বৃষ্টি না থামলে জিতত বাংলাদেশ। কিন্তু বৃষ্টি থেমে খেলা শুরু হয়। তবে বেশ কিছুক্ষণ খেলা না হওয়ায় ম্যাচে ওভার সংখ্যা কমানো হয়। আরও পড়ুন-T20 WC: টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্টরা, অতীত থেকে জানুন শেষ চারের আভাস
Liton Das ko runout krke match hi palat diya. Well done, KL Rahul! ?? pic.twitter.com/4dsyHYTEga
— Kunal Yadav (@kunaalyaadav) November 2, 2022
ডিএল পদ্ধতিতে বাংলাদেশের সামনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১৬ ওভারে ১৫১ রান। তার মানে জিততে হলে সাকিবদের করতে হত আর ৫৪ বলে ৮৫ রানে, হাতে দশ উইকেট। এমন বড় কিছু টার্গেটই নয়। ক্রিজে আবার লিটন দাস (২৬ বলে ৫৯)।
কিন্তু বৃষ্টি থামার পর বদলে গেল সব কিছু। খেলা ফের শুরুর দ্বিতীয় বলে কেএল রাহুলের অনবদ্য একটা থ্রো বদলে দিল ম্যাচের ভাগ্য। অবিশ্বাস্য ব্যাটিং করা লিটন দাস রাহুলের ছোঁড়া থ্রোয়ে রান আউট হয়ে ফিরতেই তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস। লিটন আউট হন ২৭ বলে ৬০ রান করে। লিটন মারেন ৩টি ওভার বাউন্ডারি, ৭টি বাউন্ডারি। বিনা উইকেটে ৬৮ থেকে বাংলাদেশ ১০৮ রানে ৬ উইকেট হারায়। ৪০ রানের মধ্যে বাংলাদেশের ৬টি উইকেট পড়ে যায়। আর্শদীপ সিং, হার্দিক পান্ডিয়ারা ভাল বল করেন। তবে সাকিবদের ব্যাটিংও একেবারে খারাপ হয়। লিটনের ইনিংসের কোনও সম্মানই দিতে পারেননি সাকিবরা। সাকিব ১৩ রানে দায়িত্বজ্ঞানহীন শট খেলে আউট হন। আফিফ হোসেন (৩), ইয়াসির আলি (১), মোসাদ্দেক হোসেন (৬)-রাও খারাপ খেলেন। শেষ অবধি বাংলাদেশ করে ৫ উইকেটে ১৪৫ রানে।