মহকুমা শাসকের হাতে ইস্তফাপত্র তুলে দিলেন দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান শিশির মণ্ডল। শুক্রবার দুপুর ১২টার আগেই মহকুমা শাসকের অফিসে চলে এসেছিলেন তিনি, কিন্তু মহকুমা শাসক না থাকায় তিনি ফিরে যান, এরপর আবার গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে আসেন। বৃহস্পতিবারই বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, ইস্তফা দেবেন শিশির মণ্ডল। কাজ হল সেইমতোই।
ইস্তফা দেওয়া নিয়ে কোনও বেগড়বাই করেননি চেয়ারম্যান। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, দলের একজন অনুগত সৈনিক হিসেবে দলের নির্দেশ মেনেই এসেছি। ম্যাডাম ছিলেন না, তিনি একটি সরকারি অনুষ্ঠানে ছিলেন। সে জন্য একটু দেরি হয়ে গেল। সবাইকে ধন্যবাদ। আমি আমার চেয়ারম্যানশিপ থেকে পদত্যাগ করলাম। কাটোয়ার মহকুমা শাসক ওয়াংখেড়ে অর্চনা পান্ধারিনাথের হাতে ইস্তফাপত্র তুলে দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: Dengue: ডেঙ্গিতে মৃত্যু বেলেঘাটা আইডির অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের
এরপরেও কি তৃণমূলে থাকবেন তিনি? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে শিশির সাফ বললেন, অবশ্যই। দল ছোটবেলা থেকে করে আসছি, অবশ্যই দলের কাজ করব, কেন করব না। দলে ছিলাম আছি থাকব।
প্রসঙ্গত, এক মহিলাকে অশ্লীল কথাবার্তা বলা এবং কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল শিশির মণ্ডলের বিরুদ্ধে। এমন একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে পড়েছিল। যদিও কলকাতা টিভি ডিজিটাল তার সত্যতা যাচাই করেনি। কিন্তু ওই ভিডিয়ো নিয়ে স্পষ্টতই অস্বস্তিতে পড়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। আগামী বছরের গোড়াতেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে শিক্ষক নিয়োগ, গরুপাচার দুর্নীতি, গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব নিয়ে চাপে শাসকদল। তার মধ্যে এই ঘটনা। পদক্ষেপ নিতে দেরি করেনি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। বুধবারই রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, ঘটনা সত্য প্রমাণিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনার ভিডিয়ো এবং অডিয়ো পাঠানো হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তাঁর নির্দেশেই বৃহস্পতিবার সকালেই শিশির মণ্ডলকে ইস্তফা দিতে বলা হয়। আজ সেই নির্দেশ পালন করলেন তিনি।