কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)-এর ডিভিশন বেঞ্চের কড়া ধমক, দু’বছর ধরে তদন্ত (Investigaion) করছেন! এবার তদন্ত শেষ করুন। কেন অযথা হেনস্তা করছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরার বিরুদ্ধে সোনা কাণ্ডের তদন্ত প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার এই মন্তব্য করেছেন বিচারপতি টি এস সিভাগ্নামন ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
২০১৯ সালে বিদেশ থেকে কলকাতা ফেরার পথে দমদম বিমানবন্দরে (DumDum Airport) আটকানো হয়েছিল অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা নারুলা (Rujira Narula) এবং শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরকে। তাঁদের কাছ থেকে সোনা বাজেয়াপ্তও করে কাস্টমস। অভিযোগ আনা হয়েছিল, রুজিরা ও মেনকা সোনা পাচারের সঙ্গে জডিত। এই নিয়ে অভিবাসন দপ্তর এবং রাজ্য পুলিশ যৌথভাবে তদন্ত শুরু করে। সিঙ্গল বেঞ্চে এই বিষয়টি নিয়ে আবেদন জানালে, সেই রিট আবেদন খারিজ হয়ে যায়। সেই রায়ের বিরুদ্ধেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দারস্থ হয় অভিবাসন দফতর (Immigration Department )।
আরও পড়ুন: Burdwan: মহকুমা শাসকের হাতে ইস্তফাপত্র জমা দিলেন দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান
শুক্রবার ডিভিশন বেঞ্চে (Division Bench) এই মামলার শুনানি (Hearing) ছিল। মামলার শুরুতেই অভিবাসন দফতর তদন্ত করার জন্য আরও সময় চেয়ে আবেদন জানায়। তখনই বিচারপতিদের ডিভিশন বেঞ্চ তদন্ত দ্রুত নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন। আগামী মাস অর্থাৎ ডিসেম্বরে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে আদালত নির্দেশ দিয়েছে।
উল্লেখ্য, এই মামলার সূত্রপাত ২০১৯ সালের ১৬ মার্চ। দিদি মেনকা গম্ভীরকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাঙ্কক থেকে কলকাতা ফেরেন অভিষেকের স্ত্রী। এই মামলায় আদালতে দাখিল করা এক রিট পিটিশনে রুজিরার অভিযোগ ছিল, কলকাতা বিমানবন্দরে নামার পরপরই তাঁর কাছ থেকে ঘুষ চেয়েছিল শুল্ক দফতর। তিনি তা দিতে অস্বীকার করার পর, তাঁকে মালপত্র সমেত বিমানবন্দরের রেড চ্যানেলে নিয়ে গিয়ে তাঁদের মালপত্র এক্স-রে মেশিন চেক করা হয় এবং তারপর ব্যাগ খুলে তল্লাশি চালানো হয়। কোনও বেআইনি জিনিস কিংবা নিষিদ্ধ দ্রব্য উদ্ধার না হওয়ায়, তাঁর কাছে টাকা দাবি করেন শুল্ক দফতরের কর্মীরা। সেই মামলা গত দুই বছরে আদালতে একাধিক মোড় নিয়েছে এবং অভিবাসন দফতর দুই বছর পার হয়ে গেলেও এখনও তদন্ত শেষ করে উঠতে পারেনি।