নয়াদিল্লি: প্রতি বছর নভেম্বর মাসে প্রত্যেক পেনশনভোগীকে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। এই সার্টিফিকেট পেনশন বিতরণকারী ব্যাঙ্কে জমা দিতে হবে। পাশাপাশি পোস্ট অফিসেও এই সার্টিফিকেট জমা করা যেতে পারে। তবে যে সমস্ত বেসরকারি কর্মচারীরা ইপিএফও স্কিম ১৯৯৫ সালের অধীনে পেনশন পান তাঁদের কোনও নির্দিষ্ট বয়সসীমা নেই।
প্রতি বছর লাইফ সার্টিফিকেট পেনশন বিতরণ সংস্থার কাছে জমা দিতে হয়। যা পেনশনভোগীদের জীবনের অস্তিত্বের প্রমাণ। প্রতি বছর ১ নভেম্বরে এই লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে প্রবীণ পেনশনভোগীদের অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে। সময় বাড়িয়ে ১ অক্টোবর থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিসে গিয়ে পেনশনভোগীরা ডিজিটালের মাধ্যমে সেই সার্টিফিকেট জমা দিতে পারেন।
একটি লাইফ সার্টিফিকেট তৈরি করতে পেনশনভোগীকে প্রথমে জীবন প্রমাণের সঙ্গে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। জীবন প্রমাণ অ্যাপের মাধ্যমে নতুন রেজিস্ট্রেশন করে সেখানে আধার কার্ড নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, নাম, মোবাইল নম্বর ও পেনশন পেমেন্ট অর্ডার লিখতে দিতে হবে। এইভাবেই অনলাইনে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া যাবে।
পাশাপাশি পেনশনভোগীদের সুবিধার্তে লাইফ সার্টিফিকেট তৈরি বা সংগ্রহের জন্য বাড়ি থেকেই পরিষেবা দেওয়া হয়। দেশের প্রায় ১০০টি শহরে ১২টি বেসরকারি ব্যাঙ্ক এই পরিষেবা দিয়ে থাকে। একজন পেনশনভোগী ডোরস্টেপ ব্যাঙ্কিং অ্যাপ্লিকেশনের ওয়েবসাইটে বা টোল ফ্রি নম্বর(১৮০০১২১৩৭২১,১৮০০১০৩৭১৮৮)-এর মাধ্যমে পিরষেবাটি বুক করতে পারবেন।