আলিপুরদুয়ার: গত মাসে ভালুকের (beer) আক্রমণে মেটেলি চা বাগান (tea garden) এলাকায় এক কিশোরের মৃত্যু ঘিরে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। তারই মধ্যে ফের লোকালয়ে দেখা মিলল ভালুকের। উত্তরবঙ্গের চা বাগানে হাতি (elephant) ও চিতার (leopard) প্রায়ই দেখা পাওয়া যেত। ভালুকের দেখা মিলত কদাচিৎ। কিন্তু, ইদানীং ভালুকের আনাগোনা বেড়ে যাচ্ছে। শুক্রবারের পর শনিবারও ফের একটি ভালুক দেখা গেল আলিপুরদুয়ারের(alipurduyar) কালচিনি (kalchini) ব্লকে। দক্ষিণ লতাবাড়ির পর এবার ঘটনাস্থল উত্তর লতাবাড়ি। ভালুক দেখে এলাকার মানুষ তাড়ানোর চেষ্টা করে। মানুষের তাড়া খেয়ে ভালুকটি ধান খেত দিয়ে একটি ঝোপে আশ্রয় নেয়। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের (buxa tiger reserve) বনকর্মীরা। প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টা করে ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু করে ভালুকটিকে বাগে আনা গিয়েছে। পরে সেটিকে জঙ্গলে (forest) ছেড়ে দেওয়া হবে বলে বনকর্মীরা জানিয়েছেন।
গতকাল কালচিনির দক্ষিণ লতাবাড়ি থেকে দু‘টি ভালুককে উদ্ধার করে জঙ্গলের গভীরে ছেড়ে দেওয়া হয়। তার আগে ভালুকের আক্রমণে একটি বাছুর জখম হয়। এদিন ফের একটি ভালুকের দেখা মেলায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে কালচিনি ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায়।
আরও পড়ুন Covid Cruise Ship: অস্ট্রেলিয়ায় প্রমোদতরীতে করোনা আক্রান্ত একসঙ্গে ৮০০!
কিন্তু, কেন বারবার ভালুক সমতলে নেমে আসছে? তাই ভাবাচ্ছে বন দফতরকে। বিশ্ব ঊষ্ণায়নের ফলে জীব বৈচিত্রেরও পরিবর্তন হচ্ছে। এমনিতে পর্যটকরা ঘুরতে গিয়ে ভালুকের দেখা পেলে পুণ্য হয়েছে ভাবেন। কিন্তু, চা বাগানের মানুষদের চা পাতা তোলার সময় জীবজন্তুর আক্রমণে পড়তে হয়। তাই তাঁদের কাছে বাঘ, ভালুক, হাতি আতঙ্ক বয়ে আনে। অনেক সময় দেখা যায়, ওই এলাকার বাসিন্দাদের হাতে জন্তুর মৃত্যু হয়েছে। মেটেলি চা বাগানে মানুষকে আক্রমণ করার পর এলাকাবাসী ভালুকটিকে মেরে ফেলে। সেই ঘটনার পর থেকে বনকর্মীরাও এই বিষয়ে আরও সজাগ।