তিরুবনন্তপুরম: কেরালায় (kerala) রাজ্যপালের ক্ষমতা খর্ব করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ থেকে তাঁকে সরানোর জন্য অর্ডিন্যান্স জারির সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। সেই মতো শনিবার খসড়া অর্ডিন্যান্স পাঠানো হল রাজভবনে। তাতে সই করার জন্য রাজ্যপাল (governor) আরিফ মহম্মদ খানের (arif md khan) কাছেই নিয়ম মাফিক তা পাঠানো হয়েছে। তিনি সই করলে তবেই সেটি অর্ডিন্যান্সে পরিণত হবে। ক্যুরিয়ারের মাধ্যমে তা পৌঁছেছে বলে কেরালার রাজভবন (governor house) সূত্রে জানা গিয়েছে। এখন রাজ্যপাল তাঁর ‘বিরুদ্ধে’ আনা অর্ডিন্যান্সে সই করেন কি না তা দেখার জন্য তাকিয়ে রয়েছে সব মহল। কেরালার বাম সরকার জানিয়েছে, রাজ্যপাল তাতে সই না করলে তাঁরা বিধানসভায় (assembly) বিল আনবে আগামী অধিবেশনে। একটি সূত্রের দাবি, এই অর্ডিন্যান্সে রাজ্যপাল সই না করার মনোভাব রাজভবনের।
কেরালায় রাজ্য (state) বনাম রাজ্যপাল বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ১৪ উপাচার্যকে (vice chancellor) রাজ্যপালের ইস্তফা দাবি করায় তা চরমে ওঠে। রাজ্যপালের নিয়োগ করা উপাচার্যকে মানতে চায়নি সেখানকার নির্বাচিত সরকারও। এই প্রেক্ষিতে রাজ্যপালকে আচার্য পদ থেকে সরানোর জন্য সিদ্ধান্ত নেয় কেরালার এলডিএফ (ldf) মন্ত্রিসভা (cabinet)। যদিও এই অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতা করেছে বাম ও কংগ্রেস। তাঁরা জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বশাসনে ও স্বাধীনতায় এটি হস্তক্ষেপ। রাজ্য সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে কুক্ষিগত করতে চাইছে।
আরও পড়ুন: Himachal Election: হিমাচলপ্রদেশে ভোট নির্বিঘ্নেই, ভোটদানের হার ৬৫ দশমিক ৯২ শতাংশ
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হল সর্বোচ্চ পদাধিকারী। শুধু উপাচার্য নিয়োগ নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি নির্ধারণ থেকে অন্যান্য উচ্চ পদাধিকারী নিয়োগে আচার্যের সম্মতি দরকার। আচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন (convocation) অনুষ্ঠিত করেন। যেখানে ছাত্র ছাত্রীদের ডিগ্রি দেওয়া হয়। এতদিন রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য ছিলেন সেখানকার রাজ্যপাল। সেই ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে চাইছে কেরালার বাম সরকার।