২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনটিকে জাতীয় ছুটির দিন ঘোষণার আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এই আবেদনে আরও আর্জি ছিল, রাজধানী নয়া দিল্লি এবং প্রতিটি রাজ্যের রাজধানীতে একটি করে নেতাজি সংগ্রহশালা এবং তাঁর নামে একটি করে হল তৈরি করার আদেশ দিক শীর্ষ আদালত।
প্রধান বিচারপতি ওয়াই ডি চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালার বেঞ্চ বলে, এটা একেবারেই প্রশাসনিক বিষয়। এর সঙ্গে আদালতের কোনও সম্পর্ক নেই। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের এক্তিয়ারে পড়ে না। জাতীয় ছুটি ঘোষণা হবে কী হবে না, তা সরকারি নীতির বিষয়। আদালত সরকারকে এ নিয়ে কোনও নির্দেশ দিতে পারে না।
আবেদনকারীর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজির অবদানকে স্বীকারই করতে চায় না। তাঁর অভিযোগ শুনে প্রধান বিচারপতি বলেন, নেতাজির অবদানকে স্বীকার করার সব থেকে বড় উপায় হল পরিশ্রম করা। তিনি কঠোর পরিশ্রম করতেন। প্রধান বিচারপতি আবেদনকারীকে আরও বলেন, সরকারি ছুটি অনেক রয়েছে। আর এই তালিকা দীর্ঘায়িত করবেন না।
ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি মামলাটি খারিজ করে দিয়ে বলেন, আবেদনকারী নিশ্চয়ই সুপ্রিম কোর্টের এক্তিয়ারের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে অনুধাবন করবেন। আবেদন জমা দেওয়ার আগে তাঁর নিজেকেই প্রশ্ন করা উচিত, বিষয়টির মীমাংসা করার মতো এক্তিয়ার আদালতের আছে কি না।
আরও পড়ুন:Suiri Incident: ব্যাপক বোমাবাজি বীরভূমে, পা উড়ল ১ জনের
এর আগেও বহু ব্যক্তি এবং সংগঠনের তরফে ২৩ জানুয়ারি জাতীয় ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়েছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো বহু বছর ধরে এই আবেদন জানিয়ে আসছেন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। এনডিএ এবং ইউপিএ, কেন্দ্রের দুই সরকারের কাছেই মমতার এই দাবি ছিলি। বিভিন্ন সময়ে মমতা কেন্দ্রে এই দুই সরকারের শরিকও ছিলেন।