নয়াদিল্লি: কোনও কিছু জানাজানি হয়ে যাওয়ার ভয়ে কি আফতাব আমিন পুনাওয়ালা (Aftab Amin Poonawalla) খুন করেছে শ্রদ্ধা ওয়াকারকে (Shraddha Walkar)? কী থাকতে পারে এর পিছনে। আফতাব কি শ্রদ্ধাকে গলাটিপে মেরে ছিল, তারপর তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করেছে? এরকম একাধিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে তদন্ত করছে দিল্লি পুলিশ। স্ক্যান করে দেখা হচ্ছে সাইকো কিলার (Psycho Killer) আফতাব এবং শ্রদ্ধার চ্যাট রেকর্ড (Chat Record) এবং অন্যান্য ফোন কলের তথ্য। পুলিশের দাবি, শ্রদ্ধা তাঁর লিভ-ইন সম্পর্ক নিয়ে এক বন্ধুকে চ্যাটে জানিয়েছিলেন, তিনি সম্পর্ক শেষ করতে চান, কিন্তু তাঁকে করতে দেওয়া হচ্ছে না। এদিকে, আফতাব নিজেই দিল্লি পুলিশকে (Delhi Police) জানিয়েছে, শ্রদ্ধাকে খুন করার দিন সে ড্রাগ নিয়েছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, আফতাব গাঁজার নেশায় আসক্ত ছিল এবং শ্রদ্ধাকে খুনের দিনও সে গাঁজা সেবন করেছিল। তার এই অভ্যাসের জন্য প্রেমিকা শ্রদ্ধা তাকে প্রায়শই তিরস্কার করত। পুলিশের সন্দেহ, সেদিনও এরকম কোনও ঘটনা ঘটে থাকতে পারে খুন হওয়ার আগে। শ্রদ্ধার বন্ধুবান্ধবরা বলছেন, হিংসার শিকার হয়েছেন শ্রদ্ধা।
কী বলছে চ্যাট লিস্ট?
শ্রদ্ধা ওয়াকার যে অফিসে কাজ করতেন, সেই অফিসের একজন সিনিয়র কর্মী পুলিশকে জানিয়েছেন, চোট-আঘাত লাগার কারণে মাঝেমধ্যেই শ্রদ্ধা অফিসে ছুটি নিতেন। শ্রদ্ধার চোট-আঘাতের চিকিৎসা করা এক ডাক্তারও একই কথা বলেছেন। শ্রদ্ধার কিছু বন্ধুবান্ধবের অভিযোগ, ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বরে আফতাব তার প্রেমিকা শ্রদ্ধাকে মারধর করেছিল। রাহুল রায় নামে শ্রদ্ধার এক বন্ধু তুলিঞ্জ পুলিশ থানায় তাকে নিয়েও যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অভিযোগ দায়ের না করেই তিনি ফিরে আসেন। আবার কেউ বলছেন, আফতাব সেখানে এসে শ্রদ্ধাকে অভিযোগ তুলে নিতে বলে। হুমকি দিয়েছিল, অভিযোগ তুলে না নিলে সে আত্মহত্যা করবে। কিন্তু পুলিশের বক্তব্য, বন্ধুবান্ধবদের থেকে পাওয়া চ্যাটের স্ক্রিনশট থেকে যা জানা গিয়েছে, আফতাব প্রায়শই মারধর করত শ্রদ্ধাকে। শ্রদ্ধা তার রিপোর্টিং ম্যানেজারকেও মেসেজ করেছিলেন এই নিয়ে। আফতাব তাঁকে এতোটাই মারধর করেছিল, যে বিছানা থেকে ওঠার ক্ষমতা ছিল না তাঁর।