সুন্দরবন: সুন্দরবনে (Sunderbon) মুখ্যমন্ত্রীর সফরের প্রহর গুণছেন বাংলাদেশ (Bangladesh) সীমান্ত-জঙ্গল লাগোয়া বাসিন্দারা। সীমান্তের শেষ প্রান্তে জঙ্গল পারের মানুষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Chief Minister Mamata Banerjee) সভার জন্য অপেক্ষা করছেন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের হেমনগর কোস্টাল থানার বনবিবি (Bonbibi Math) মাঠে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর সভা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সুন্দরবন লাগোয়া প্রত্যন্ত এলাকায় জনসভায় কী বলবেন মুখ্যমন্ত্রী সেদিকেই নজর রয়েছে সকলের। সভাস্থল থেকে ৩০০ মিটার দূরে অবস্থিত কালীতলা পঞ্চায়েতের বনবিবির মন্দিরে পুজো দেওয়ার কথা রয়েছে মমতার। পাশপাশি এদিনের সভা থেকে একাধিক প্রকল্প উদ্বোধন করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। এছাড়া লক্ষ্মীশ্রী, খাদ্যসাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, জয় জোহার, স্বাস্থ্যসাথী, ঐক্যশ্রী, আর্টিজান ক্রেডিট কার্ডের মতো বিভিন্ন সরকারি পরিষেবাও প্রদান করা হবে সূত্রের খবর।
কালীতলা পঞ্চায়েত রাজ্যের প্রত্যন্ত পঞ্চায়েতের মধ্যে অন্যতম। সেখানেই ১৫ হাজার ভোটারের বাসস্থান। সুন্দরবনের খাঁড়ি লাগোয়া বনবিবির মন্দির। মন্দির সংলগ্ন খাঁড়ির ওপারে বাঘ সংরক্ষিত এলাকা। বনবিবির মন্দিরে পুজো দিয়ে মধু সংগ্রহ করতে বা কাঁকড়া ধরতে যান এলাকার বাসিন্দারা। আর সেখানেই আসছেন মুখ্যমন্ত্রী, যথেষ্টই উচ্ছ্বসিত স্থানীয় বাসিন্দারা। বিভিন্ন সমস্যার সমাধান এদিনের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাওয়া যাবে বলে আশা স্থানীয় বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুন:Gosaba TMC Clash: ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূলে, গোসাবায় গুলিবদ্ধ তৃণমূলকর্মী
মঙ্গলবার সভা করার পর হাসনাবাদ-টাকি এরিয়ান ক্লাবের মাঠে হেলিকপ্টারে নামবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের বাংলোতে রাত কাটাবেন। তার পরের দিন বুধবার পর্যটন কেন্দ্রগুলো খতিয়ে দেখবেন, সাধারণ মানুষ ও পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলবেন।
এর আগেও জেলাশাসক (DM) সহ প্রশাসনিক শীর্ষ কর্তারা সভাস্থল ঘুরে দেখেন। এদিনও প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা সেখানে হাজির ছিলেন। পুলিশ কুকুর নিয়ে এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হয়। সভাস্থলের কাছে মানুষকে ঘেঁষতে দেওয়া হচ্ছে না এদিন থেকেই। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ (Police) বাহিনী।